প্রেসক্লাবে সমাবেশে পুলিশী হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা সেচ্ছাসেবক দলের

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
0

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে পুলিশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবিএম পারভেজ রেজা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সগীর , হাতিরঝিল থানা শাখার যুগ্ম আহবায়ক এবাদুল বেপারী,

রমনা থানা শাখার সদস্য জহির মাঝি, সানোয়ার হোসেন, হরেন, দারুস সালাম থানা শাখার সদস্য নাদিম হোসেন, আজিজ, রুবেল, ইরান, সুমন, রাহাত, সজীব, খোকন, আল আমীন, জয় ও রফিককে গ্রেফতার এবং স্বেচ্ছাসেবক দল সহ-সাধারণ সম্পাদক সরদার মো: নুরুজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোর্শেদ আলম, মোঃ রিফাত, মতিউর রহমান দিলু, মোহাম্মদ হাসান, মোঃ লিটন, মোঃ সোহাগ, মোঃ আজহার, আনোয়ার হোসেন, মোঃ ইউনুস, মোঃ সজীব, শরীফ ও স্বপনকে বেধড়ক লাঠিপেটায় আহত করার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল।

আজ এক বিবৃতিতে মোস্তাফিজুর রহমান এবং আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, “ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জনকল্যাণ সাধন নয়, বরং বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের অস্তিত্ব নির্মূলে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপির যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখলেই সরকার আঁতকে উঠে তা পন্ড করতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ দিয়ে নৃশংস হামলা ও গ্রেফতারকে নিত্যদিনের কর্মসূচিতে পরিণত করেছে। এছাড়া দেশকে গুম, খুন, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার লীলাভূমিতে পরিণত করেছে বর্তমান গণবিরোধী সরকার। দু:শাসনের আঁচলে দেশকে বন্দী করে রেখেছে তারা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উচ্চাভিলাষ এদেরকে চরম হিংস্র

করে তুলেছে।

সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও দুর্নীতির সত্য সংবাদ আল জাজিরা কর্তৃক প্রকাশিত হবার পর তারা বেসামাল হয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও কোটি মানুষের অন্তহীন ভালবাসায় সিক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের বীরোত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যই হলো আল জাজিরা কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ থেকে জনদৃষ্টিকে ঝাপসা করে দেয়া। জনগণ মনে করে এই সিদ্ধান্ত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার সামিল। জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রেখে সারাদেশে লুটপাটের কর্মসূচি চালিয়ে যেতেই ক্ষমতাসীনরা বিএনপিকে ধ্বংস করতে যে ব্যর্থ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তা সমুলে উৎপাটন করতে না পারলে বাংলাদেশের জনগণ ক্রমান্বয়ে এক অনিশ্চিত অন্ধকারের গহব্বরে নিপতিত হবে।

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একদলীয় নব্য বাকশালী শাসন চিরস্থায়ী করার অলীক স্বপ্নে সরকার বিভোর রয়েছে বলেই গণমানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করছে। অবস্থাদৃষ্টে এটি নিশ্চিত যে, অত্যাচারী সরকার দু:শাসনের অভিঘাত সৃষ্টি করে একটা একদলীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

আর এই কারণেই তারা বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল ও রাষ্ট্রের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত ও গ্রেফতার করা সরকারের ফ্যাসিবাদী ও গুন্ডা মাফিয়া শাসনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, যিনি সবসময় দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবেসে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে গেছেন, তাঁকে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বানিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে।

আর এখন বিএনপির আন্দোলনকে কোনভাবেই দমাতে সক্ষম না হয়ে বর্তমান অবৈধ ও অনৈতিক সরকার মহান স্বাধীনতার ঘোষক, জেডফোর্সের অধিনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের বীরোত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি মরণপন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

আজ প্রেসক্লাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশী হামলা, নেতাকর্মীদেরকে আহত ও গ্রেফতার করার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।”