ফতুল্লা এতিমখানা ও মাদ্রাসার সম্পত্তি জবরদখল করে দখলদারিত্বে যেতে চায় দাদন বাহীনি

আপডেট: জুন ৩০, ২০২২
0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
গতকাল ২৯ জুন বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকায় ঢাকা শ্যামপুর থানা প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মো ফজলুর রহমান ও তার শিক্ষকরা ফতুল্লা ভূমি দস্যু, জবরদখলদারী সন্ত্রাসী বশির দাদন গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মো ফজলুর রহমান বলেন আমি ফতুল্লা গিরিধারা আবাসিক এলাকায় ৬৮৫৬ নং দলিল মূলে ওয়াকফকৃত ৩.৫ শতাংশ জমির ওপর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফয়জুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত করি এবং প্রতিষ্ঠানের বয়স প্রায় ১৮ বছর যাবত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে পরিচালনা করে আর্সছি।

আমাদের প্রতিষ্ঠানটি করোনা কালিন সময়ে ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ থাকার সুযোগে সন্ত্রাসী বশির দাদন (৪৮), রহিমা আক্তার (২৬), নজরুল মিয়া (৩৮) গত ১৩, ৩, ২০২২ তারিখে রাত তিন ঘটিকায় ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বেদখল করার যোর পূর্বক চেষ্টা চালায় এতিমখানা ও মাদ্রাসার ৫০ কপি কুরআন, টুল টেবিল, রেহাল সিংলিং ফ্যান সহ এতিমদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন গতকাল ২৮ জুন মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকায় সন্ত্রাসী রাজ্জাক বেপারী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে এতিমখানা ও মাদ্রাসা ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে এসে মাদ্রাসার গেইটের তালা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করে ভিতরে থাকা বিভিন্ন মালামাল ভ্যানগাড়ী যোগে নিয়ে যায় এবং দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে ইট গাঁথনি স্থাপনা নির্মাণ করে।

এসময় আমি সহ আমার শিক্ষকরা বাঁধা দিলে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালা গালিজ করে মারধর করার জন্য ঘুরাঘুরি করে এবং বলে যায় এই বিষয়ে কোন ধরনের বারাবাড়ি করলে আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি করে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায় স্থানীয় নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা সন্ত্রাসী বাহিনী তান্ডব নীলা চালায়, এ বিষয়টি ফতুল্লা থানায় তিনটি অভিযোগ করলেও মামলা হিসাবে রুজু করা হয়নি। মাওলানা মো ফজলুর রহমান বলেন আমি মানবতার মা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করি যে আপনি ইসলামের উপর অটল আপনার হাত ধরেই সারা বাংলাদেশে ইসলামের উন্নয়ন অব্যহত আছে জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা আপনি এতিমদের দুঃখ বুজবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক মো এমদাদুল হক জসিম, সিনিয়র সহ সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা মো আবদুল আউয়াল প্রমূখ।