ফিলিস্তিনে বোমা হামলা বিশ্বজুড়ে ঈসরাঈল বিরোধী বিক্ষোভ

আপডেট: মে ১৫, ২০২১
0

টানা পঞ্চমদিনের মতো ফিলিস্তিনে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪০টি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯৫০ জন। শনিবারও ফিলিস্তিনে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামলা থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়ি-ঘর ছেড়েছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েল সীমান্তে হানা দিয়েছেন জর্ডান ও লেবাননের ফিলিস্তিনিপন্থীরা। যোগ দিয়েছেন সিরিয়ার বাসিন্দারাও। শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জর্ডান ও লেবানন সীমান্তে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনকি দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে তাদের এমন ‘বর্বর’ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার।

শুক্রবার (১৪ মে) দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহের (ইউএনএসসি) ৪৪৬ (১৯৭৯) এবং ২৩৩৪ (২০১৬) সঙ্গে একেবারেই যায় না, যেখানে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং ‘ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা’ রক্ষার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল সীমান্তের কিং অ্যালেনবাই সেতুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শত শত জর্ডানিয়ান। জর্ডান থেকে ইসরায়েলে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম এই সেতুটি।

এছাড়াও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সীমান্ত পার হয়ে ইসরায়েলের মেতুলা শহরে ঢুকে গেছেন লেবাননের একদল বিক্ষোভকারী। এসময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত এক লেবানিজ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে কমপক্ষে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ইসরায়েলের বিরোধিতায় যোগ দিয়েছেন সিরিয়ার ফিলিস্তিনিপন্থী মানুষেরাও। গত শুক্রবার সিরিয়া থেকেও ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হানায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরও কযেকটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বাহরাইন।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া মরক্কো জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীর ও গাজায় ৪০ টন খাদ্য, ওষুধ ও কম্বল পাঠাবে। এদিকে, ইসরায়েলি ও হামাস নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করেছে মিসর। অবশ্য তাতে এখন পর্যন্ত কোনো সুফল আসেনি।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। তারা দৃঢ়ভাবে চায় ইসরায়েল অবিলম্বে তাদের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করুক। সূত্র: ডয়চেভেলে ও আল মনিটর।