ফ্যাসবাদী সরকার কালো আইন দিয়ে সব কিছু গ্রাস করছে – ফখরুল

আপডেট: মে ১, ২০২১
0

বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির একচ্ছত্র মালিক কেবল তারাই। তাই দেশ শাসন ও এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে, অন্য কারও নেই। এ ধরনের বোধ ও চিন্তা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন হিংস্রতার শেষ সীমানায় এসে পৌঁছেছে।’

আজ শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বর্তমান গণবিরোধী সরকারের অনৈতিক শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মী, গণমাধ্যমের সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, ব্লগারসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলাধীন লাঙ্গলকোট থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন নয়ন এবং সাখাওয়াত হোসেন শাহীনের বিরুদ্ধে উক্ত আইনে লাঙ্গলকোট পৌর মেয়র নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

ফ্যাসিবাদী কায়দায় গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পর বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এখন এই কালো আইনের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের হয়রানী করে নিজেদের অবৈধ শাসনকে টিকিয়ে রাখার সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশের মানুষ এখন এক অসহনীয় দুর্দশার মধ্যে বসবাস করছে। রাজনীতির নামে আওয়ামী অপরাজনীতির এক ভয়ংকর মহা বিষবাষ্প গোটা দেশটাকে গ্রাস করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ মনে করে-বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটির একচ্ছত্র মালিক কেবলমাত্র তারাই। তাই দেশ শাসন ও এদেশে রাজনীতি করার অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে অন্য কারো নেই। এই ধরণের বোধ ও চিন্তা থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার এখন হিং¯্রতার শেষ সীমানায়। ফ্যাসিবাদী সরকারের হিং¯্র ছোবল দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করছে।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ফ্যাসিবাদী অনৈতিক কর্মকান্ড, দুর্নীতি, দুরাচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইনে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার সবকিছুকে দমন ও নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, গ্রাস করতে চায়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লাঙ্গলকোট থানা বিএনপি নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অসত্য মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি। পাশাপাশি এই কালো আইন বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।”