বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা শেখ হাসিনার জন্য লজ্জার -ডা. জাফরুজল্লাহ চৌধুরী

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২১
0

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, শাল্লায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি, মন্দিরে হামলা, ভাংচুরের ঘটনাটি শেখ মুজিবের লজ্জা, এটা তার কন্যা শেখ হাসিনার লজ্জা।

কারণ যেদিন হামলা হয়েছে সেদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ছিল, যিনি ছিলেন সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক একজন মানুষ। আমার প্রধানমন্ত্রী এটাকে কিভাবে নিচ্ছেন জানি না। কিন্তু সেইদিন তার দলের লোকজন মসজিদের মাইক ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ হয়ে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে যে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা কোনও সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।

ফেসবুক পোস্টের জেরে শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে সংঘটিত হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিশেষ এই দিনে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, এর দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। এই ঘটনায় উনি দায়ী না হলেও উনার লোকজন দায়ী। তাঁকেই এর স্থায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ আমরা রামু দেখেছি, নাসিরনগর দেখেছি- এটা আমাদের লজ্জা। এ জন্য কী আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। খেতে পাই বা না পাই নিরাপদে থাকতে চাই আমরা।
তিনি বলেন, নোয়াগাঁও গ্রামে এসে ভাংচুর হওয়া কিছু বাড়িঘর দেখেছি, মন্দিও দেখেছি। যে কোনও ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। আমরা এই ঘটনার তদন্ত চাই, তবে অনন্তকালের তদন্ত চাই না। নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেখতে চাই।

তিনি বলেন, দেশে আইন করতে হবে যেন মসজিদের মাইকে আজান ছাড়া অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা না হয়। আমরা স্থানীয় মানুষের বক্তব্য শোনে জেনেছি, এই হামলায় কেবল হেফাজত নয় ক্ষমতাসীন দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীও অংশ নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল প্রশাসনের। তারা এষনও হেসে-খেয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দিন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এক মাসের মধ্যে জড়িতদের বিচার করুন। আর এই ব্যর্থতার জন্য এই অঞ্চলের লোকজনের কাছে এসে ক্ষমা চান।

এ সময় উপস্তিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমদাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু্, চেতনা’৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোহেল আহমদ খান টুনু