বঙ্গোপসাগরে ২১ জেলে নিখোঁজ

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২২
0


মোঃ সিরাজুল ইসলাম , ভোলাঃ

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার খান মৎস্য ভান্ডার-৩ নামে একটি ট্রলার ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারে ২১ জন জেলে ছিলো। এদের মধ্যে দৌলতখানের ১৬ জেলে এবং দুই জেলেকে জীবিত অবস্থায় ভারত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় তাদের আত্মীয়স্বজন।

গত ২১ অক্টোবর শুক্রবারে রাতে ভোলার চরফ্যাশন সামরাজ থেকে ট্রলারটি মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ২৪ তারিখ রাতে জিপিএসের মাধ্যমে লোকেশন দেখা যায় ট্রলারটি পাথরঘাটায়। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে ছেড়ে যায়। এরপর থেকে কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এনিয়ে ট্রলার মালিক নাছির খানের কোনো তৎপরতা নেই।

স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ইলিশ প্রজন্ম ধরার ওপরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সাগর ও নদীতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার চরফ্যাশন সামরাজ ও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শতাধিক ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য যায়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পরলে ট্রলারটি ডুবে যায়। তারপর থেকে তাদের কারো খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়নি।

গত ২৮ অক্টোবর ভারতে উদ্ধার হওয়া মিরাজ মুঠোফোনের মাধ্যমে তার আত্মীয়কে জানায়, আমি ও নজির ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। ঝড়ের কবলে পরে আমাদের বোট মাঝখান দিয়ে ফেটে ডুবে যায়। এখানে কিভাবে আসছি তাও জানিনা। তবে বাকিদেরকে অন্য বোটে উঠাতে দেখছি। এখান থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেন।

দুলাল মাঝির ছেলে ফজলে রাব্বি জানান, গত ২১ তারিখ শুক্রবার রাত ১ টার দিকে চরফ্যাশন সামরাজ থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্য যায়। ২৪ তারিখে রাতে জিপিএসের মাধ্যমে লোকেশন দেখা যায় ট্রলারটি পাথরঘাটায়। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে ট্রলার ছেড়ে গেছে। তারপর থেকে আর ট্রলারটির খবর পাওয়া যায়নি।

ফিরোজ এর ছেলে আরিফ বলেন, আব্বার সাথে শুক্রবার রাত ১২টার সময় কথা হয়েছে। তখন আব্বা বলে, সাগরের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষন পর ছেড়ে যাইবো। তারপর থেকে আব্বার সাথে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দৌলতখান থানার এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, এই পর্যন্ত দৌলতখান থানায় ফিরোজ সহ ১৫ জন জিডি করেছে। এদের মধ্যে চরপাতার ৮জন, চরখলিফার ৪ জন, পৌরসভার ২ জন, ভবানীপুর ১ ও সৈয়দপুরের ১ জন। আমরা বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে এসএমএস মাধ্যমে জানাবো।

চরফ্যাশন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান এবিষয় আমি কিছু জানিনা।