বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নাকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মান্না বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা ইউএনওর বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় করা পুলিশের মামলার ২ নম্বর আসামি।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকার বোনের বাসা থেকে তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মান্নার বোন কানিজ ফাতেমা বনা।
কাউন্সিলর মান্না বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোডের বাসিন্দা সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মৃত শেখ কুতুব উদ্দিনের ছোট ছেলে। ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় পুলিশের এসআই শাহ জালাল মল্লিকের করা মামলার দুই নম্বর আসামি তিনি। এ মামলার ১ নম্বর আসামি সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
কানিজ ফাতেমা বনা বলেন, রাতে সাদা পোশাক পরিহিত একদল লোক বাসায় এসে ডিবি পরিচয়ে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরিচয় জানতে চাইলে জানায় বরিশাল কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কাউন্সিলর মান্নাকে তুলে নেওয়া কিংবা আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে এইটুকু জানি, মান্না বুধবার রাতের ঘটনায় করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাকে গ্রেফতার কিংবা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।
ব্যানার-পোস্টার অপসারণকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা ইউএনওর বাসভবনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ওসি-প্যানেল মেয়রসহ সাত জন। এছাড়া পুলিশের লাঠিচার্জে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে কোতোয়ালি থানায় ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। একই থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ জালাল মল্লিক বাদী হয়ে আরেকটি মামলাটি করেন। দুই মামলায় সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।