রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি:
অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে মাকে মোটরসাইকেল বসিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে যাওয়া সেই যুবক করোনা জয়ী মাকে নিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার( ২৩ এপ্রিল)
ব্যাংকার জিয়াউল আহসান টিটু মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি ঝালকাঠীর নলছিটিতে মা স্কুল শিক্ষিকা রেহানা পারভিন (৫৪) কে নিয়ে ফিরেছেন। এর আগে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের সামনে মাকে নিয়ে হাত নাড়িয়ে বিজয় চিহৃ দেখান তিনি।
গত ১৭ এপ্রিল মোটরসাইকেলের পেছনে করোনায় আক্রান্ত মাকে বসিয়ে তার অক্সিজেন সাপ্লাই ঠিক রাখতে ব্যাংকার ছেলে জিয়াউল হাসান টিটু নিজের শরীরের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে রেখে বরিশালে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। লকডাউনে বিরম্বনার মধ্যে মায়ের প্রতি ছেলের অপার ভালোবাসার আবেগঘন এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ প্রসঙ্গে
ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান বলেন, শুক্রবার শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে মাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এখন তার মা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। মাকে সুস্থ্য করে বাড়িতে ফেরতে পাড়াই তার কাছে পরম সৌভাগ্যের। তিনি এজন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেছেন।
প্রসঙ্গত বরিশালের ঝালকাঠী জেলার নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভিনের শরীরে সম্প্রতি করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।
তবে আকস্মিক গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে পুত্র কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠী শাখার কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান শেষ বিকেলে মাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হন। চলমান লকডাউনে কোন যানবাহন না পেয়ে পিঠে সিলিন্ডার বেধেঁ মাকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে যান পুত্র জিয়াউল হাসান টিটু।
বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মোটরসাইকেল যাওয়ার এই দৃশ্য ১৭ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তৌহিদ টুটুল ছবিটি ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন।
রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া
