বহুদলীয় গণতন্ত্র হত্যা দিবস: দু:শাসন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সবাইকে আন্দোলনে সামিল হতে হবে- মীর্জা ফখরুল

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২১
0

“১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ আজকের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদ কর্তৃক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কালো অধ্যায় । এ দিনে তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে শহীদ জিয়ার পুণরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।

বর্তমানে একইভাবে দল, মত, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় সামিল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন , ”সংবিধান স্থগিত করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা। স্বৈরাচার এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের এই দিনটি জাতির ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেনি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ণ নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভিষিকাময় দূর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিল। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে।

১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেই স্বৈরশাসকের সাথে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দী করে। দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে।

গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।

এমতাবস্থায় আমি আজকের এই কালো দিনে দল, মত, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে সকল পর্যায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান দুঃসহ দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রামী অভিযাত্রায় সামিল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে হবে।