মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একদিকে বলছেন ইসলায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, হামাসকে বলছেন ইসরায়েলে রকেট না ছুড়তে।
ডেমোক্রেট সিনেটররা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থনের মূল্য দিতে হবে। সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জীবনের দাম দিতে হবে।
নিউ ইয়র্কের রিপ্রেজেন্টিটিভ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকার অধিকার কি নেই? মানবাধিকারের পক্ষে বাইডেনের জবাবদিহিমূলক অবস্থান কোথায়? মিশিগানের রিপ্রেজেন্টিটিভ রাশিদা তালিব যুদ্ধাপরাধ আড়াল করতেই ইসরায়েল মিডিয়া অফিসে হামলা চালাচ্ছে।
সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন, বাইডেন প্রশাসন আইনের শাসন ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করলে প্রেসিডেন্ট জো ইসরায়েলের পক্ষে এমন নির্লিপ্ত বক্তব্য রাখেন কিভাবে। মিনেসোটা রিপ্রেজেন্টিটিভ ইলহান ওমর বলেছেন বাইডেনের বক্তব্যে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যার কথা নেই, গাজায় ইসরায়েলিদের এই হিংস্র রক্তপাতকে সমর্থন যুক্তাষ্ট্রের পক্ষে জঘন্য এবং অনৈতিক। এমনটি অন্যকোনো সময় দেখিনি যে যুক্তরাষ্ট্র এভাবে বেসামরিক মানুষকে হত্যার অনুমতি দেয়।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে হোয়াইট হাউসের ভার্চুয়াল ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান বয়কট করে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মুসলিম সিভিল রাইটস গ্রুপ কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন। এক বিবৃতিতে কাউন্সিল জানায় গাজায় নির্দোষ শিশু, নারী ও পুরুষের ওপর ইসরায়েলি বোমা হামলায় বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনে আমরা হোয়াইট হাউসে ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিষয়টি বিবেচনায় আনতে পারি না।
ম্যাসাচুয়েটসসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, কোনো প্রশ্ন বা সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ইসরায়েলকে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তার পর গাজায় নেতানিয়াহু সরকারের অগণতান্ত্রিক ও বর্ণবাদী আচরণের জন্য আমরা ক্ষমাশীল হতে পারি না। আমাদের অবশ্যই গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে এবং এমন এক সমঝোতা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, যা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার বিধান অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিপক্ষে যাবে না। সূত্র: সিএনএন
