বাইতুল মোকাররমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হেফাজতের কোন সম্পর্ক নেই: হেফাজত মহাসচিব

আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২১
0

বাইতুল মোকাররমে যারা বিক্ষোভ করেছে, তাদের সাথে হেফাজতের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং সে ঘটনায় পরিস্থিতি শান্ত করতে ভূমিকা রেখেছে হেফাজত বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী ।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। হেফাজত মহাসচিব বলেন, ২৬ মার্চ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের সাথে কিছু দুষ্কৃতিকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে সাধারণ মুসল্লিদের অনেকেই আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হাটহাজারী ও বি-বাড়ীয়ায় বিক্ষোভ করে সাধারণ ছাত্র জনতা। এরই পরিপেক্ষিতে হেফাজত দুই দিনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা করে। ২৭ মার্চ ছিলো বিক্ষোভ সমাবেশ ও ২৮ মার্চ শান্তিপূর্ণ হরতাল।

মহাসচিব বলেন, হেফাজত শুরুর দিন থেকেই সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাও নেই। হেফাজতের প্রধান প্রধান পদগুলোতে যারা রয়েছেন, তারাও সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করে বর্তমান আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী, প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং আমি, আমরা কখনই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না এবং বর্তমানেও নেই। হেফাজত শুধু দ্বীনি ইস্যুতে কর্মসূচি দিয়ে থাকে। এ যাবতকাল আমরা যতগুলো কর্মসূচি দিয়েছি, তার সবই দ্বীন ও দেশের স্বার্থে।

নুরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন যাবত গণহারে হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তার করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনাইদ আল হাবীব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, খোরশেদ আলম কাসেমী, সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, জালালুদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমীন, কেন্দ্রীয় সহ অর্থ সম্পাদক ইলিয়াস হামিদী, কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক শরীফুলাহ, ঢাকা মহানগর সহ সভাপতি মাওলানা যুবায়ের আহমদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়োছে।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, কেনো তাদের গ্রেফতার করা হলো। তারা তো কোনও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বরং তারা বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন।