বাম্পার ফলনের গম এখন এখন গরু ও মাছের খাবার !!

আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২২
0

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে ভূরুঙ্গামারীতে টানা বৃষ্টিতে পাকা গম ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষক।ক্ষেতের মধ্যেই গম থেকে চারাগাছ বের হচ্ছে। কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত গম ঘরে তুলতে পারলেও এই গম কোন কাজে আসছেনা। কূষকের স্বপ্নের ফসল এখন গরু ও মাছের খাবারে পরিনত হয়েছে।গম চাষে কৃষকের লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকাও উঠছেনা। গমের বাম্পার ফলন হলেও গম এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তুু সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়। গমের বাম্পার ফলনেও চৈত্র মাসের টানা বৃষ্টির কারণে কৃষকরা গম কাটতে পারেনি।গম ক্ষেতেই গম থেকে চারাগাছ হওয়ায় কৃষক ব‍্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গম চাষীর অসময়ে বৃষ্টির কারনে শত শত বিঘা জমির গম নষ্ট হয়েছে।
চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মিজান শিকদার বলেন, আমি দশ বিঘা জমিতে গম লাগিয়েছিলাম ফলনও খুব ভাল হয়েছিল।আশা ছিল গম বিক্রি করে লাভবান হব।কিন্তুু টানা বৃষ্টির কারনে আমি গম ঘরে তুলতে পারছিনা।এখন এই গম গরু ও মাছের ফিড হিসেবে বিক্রি ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা।
একই গ্রামের আব্দুল জলিলের সাড়ে পাঁচ বিঘা জহুরুল ইসলামের প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা বেলাল উদ্দিনের এক বিঘা তিলাই ইউনিয়নের খোচা বাড়ি গ্রামের হামিদের তিন বিঘা দক্ষিন তিলাই গ্রামের আব্দুর রহমানের দেড় বিঘাসহ ওই এলাকার অনেকেই তাদের জমিতে গম চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে তারা কিছু জমির গম কাটতে পারলেও অতি বৃষ্টির কারণে অবশিষ্ট জমির গম কাটতে না পারায় জমিতেই গমের চারা গজিয়েছে এবং যেসব গমের চারা গজায়নি সেগুলোও পচে গেছে।
তারা জানিয়েছেন সার, পানি ও বীজ বাকিতে নেওয়া হয়েছে। গম বিক্রি করে বাকি পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখন তিনি দেনা পরিশোধ নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গম চাষীর শত শত বিঘা জমির গম নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলার বেশিরভাগ গম কাটা হয়েছে। কিছু গম কাটতে বিলম্ব হওয়ায় অতি বৃষ্টির কারণে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
###
আমিনুর রহমান বাবু
০১৭১৬২৫৬৫৩২
১১/০৪/২২