বারি’তে পেঁয়াজের রোগের প্রাদুর্ভাব ও তাঁর ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রারম্ভিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার “পেঁয়াজের ফলন পূর্ব ও পরবর্তী প্রধান প্রধান রোগের প্রাদুর্ভাব এবং তাঁর ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রারম্ভিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেজিএফ এর ‘‘Prevalence of Major Pre and Post-Harvest Diseases of Onion and their Management’ ’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বারি’র সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ওই প্রারম্ভিক কর্মশালায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং কেজিএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রীনা রানী সাহা, কেজিএফ’র সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপ) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা, কেজিএফ’র পরিচালক (ক্রপ এন্ড ন্যাচারাল রির্সোস) ড. মো. আককাছ আলী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. মতিয়ার রহমান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. মো. মনিরুল ইসলাম।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, আমাদের দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু আমাদের দেশে বছরে গড়ে মোট পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৯ দশমিক ৫৪ লক্ষ মেট্রিক টন। উপরন্তু ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন প্রধান প্রধান রোগ ও অন্যান্য কারণে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়।

ফলে আমরা প্রতি বছর মাত্র ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভোগের জন্য পেয়ে থাকি। সে কারণে প্রতি বছর আমাদের প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন কারণে যেন পেঁয়াজকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা গেলে আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করা লাগবে না। এতে আমরা বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারবো।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন প্রধান প্রধান রোগ ও অন্যান্য কারণে পেঁয়াজ যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।
১৩/০১/২০২২ ইং