বাল্য বিয়ে হওয়া শিক্ষার্থীদেরও ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি-শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২১
0


গাজীপুর প্রতিনিধি

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা অতিমারীর কারণে কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাল্যবিয়ে বেশি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, সেই বাল্যবিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েদের আবার ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। তারা অনেকেই স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। অতিমারীর কারণে এক শহর থেকে আরেক শহরে বা শহর থেকে গ্রামে চলে গেছে। স্থানান্তরিত হলেও তারা যেখানেই আছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন তারজন্য আমরা চেষ্টা করছি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্সরুমে অধিভুক্ত কলেজ সমূহে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম (ভার্চুয়ালী) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ওইসব কথা বলেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল -হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এমুহুর্তে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারছি না। নতুন বছর শুরু হলে এবং তখন সংক্রমন আরো কমে গেলে আমরা আশা করছি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে পারবো। এখন যে অবস্থা আছে তাতে সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকরা যে পুরোপুরি স্বস্তিতে আছে, তা নয়। সে কারণে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কোথাও কোথাও কম আছে। আস্তে আস্তে যখন সব ক্লাস শুরু হবে তখন আবার তাদের উপস্থিতি বাড়বে, এটা নিশ্চিত। করোনাকালে কিছু শিক্ষার্থী হয়তো ঝরে গেছে। করোনা অতিমারিতে কতটা আসলে ঝরে গেছে এবং কি কারণে ঝরে গেছে সেটা আমাদের নিরূপন করতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা এখনই কাজ করছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরও কিছুদিন গেলে আমরা বুঝতে পারবো। সত্যিকার অর্থে কতজন ঝরে পড়েছে। আর কতজন করোনা অতিমারিরর কারণে কিংবা ঋতু পরিবর্তনজনিত অসুস্থতার কারণে হয়তো ক্লাসে উপস্থিতির হার কম। আর কিছুদিন গেলে আমরা বুঝতে পারবো সত্যিকার কোন কারণে কতজন ক্লাসে আসছে না কিংবা কতজন আসলে ঝরে গেছে। তখন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষে স্প্যাসিফিক ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে। আমরা এ বিষয়টি দেখছি।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারেন সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি.। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
অনার্স শিক্ষকদের এমপিও ভূক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্ত শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করে না। তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তৃতীয় শিক্ষকের ব্যাপারে আমরা এ মুহুর্তে কোন সুখবর দিতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
এছাড়া একইদিন বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলরুমে কেক কাটা এবং আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানে অংশ নেন বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং ঢাকার সরকারি সঙ্গীত কলেজ সুরের ধারা কলেজ অব মিউজিকের শিল্পীরা।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর
তাং-২১-১০-২১ইং