বাসা-বাড়িতে যেয়ে করোনা চিকিৎসার সুপারিশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ডা.জা্ফরউল্লাহর

আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২১
0

মূল সমস্যা
সারা পৃথিবী কোভিড-19 রোগে পর্যদুস্ত। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে চিকিৎসকদের জট ও তাদের দালালদের প্রতারনার নেট we¯Í…Z। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি একটি দুর্ভাগ্যজনক সত্য এবং নিবেদিত নার্সের সেবা স্বপ্নের ছায়ায় পরিনত হওয়ায় তাদের দায়িত্ব পালন করছে অতিরিক্ত বকশিশের বিনিময়ে আয়া ও সুইপাররা। বড় হাসপাতালে হুইল চেয়ার ও ট্রলির জন্যও ঘুষ দেবার ঘটনা সর্বজন বিদিত। টেকনিশিয়ানদের প্রয়োজনীয়তা চিকিৎসা প্রশাসকদের চিন্তার অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশে প্রয়োজন নিদেন পক্ষে তিনলাখ চিকিৎসক, আছে একলাখের অনধিক। প্রতি বছর সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে 20,000 করে ছাত্রভর্তি করালেও কাম্য সংখ্যায় পৌছতে 12-15 বছর লাগবে।

ঢাকায় হাসপাতালে শয্যার স্বল্পতা, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (ICU) দুস্প্রাপ্যতা এবং ব্যবহৃত ওষুধের অত্যাধিক মূল্য ও রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার অধিক চার্জ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রীর উপর অকল্পনীয় বিবিধ শুল্ক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে জনগনের সামর্থের বাইরে নিয়ে গেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে রোগীকে চিকিৎসার প্রায় 72% খরচ নিজেকে বহন করতে হয় (Out of Pocket Expense-OOP)। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে রোগীকে এতো অধিক পরিমান চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হয় না। জনগনের অজ্ঞতার কারনে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে আইসিউ (ICU) প্রীতি ও আকর্ষন বেড়েছে, দালালদের আয় বেড়েছে এবং রোগগ্রস্থ পরিবার সর্বশান্ত হচ্ছে।

তদোপরি অধিকাংশ মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রীর উপর কাষ্টমস ডিউটি (Customs Duty), রেগুলেটরী ডিউটি (Regulatory Duty), সাপ্লিমেন্টারী ডিউটি (Supplementary Duty), , মূসক (VAT), অগ্রিম আয়কর (Advance Income Tax), অগ্রিম কর (Advance Tax) টোটাল ট্যাক্স ইনসিডেন্স (Total Tax Incidence), মূল্য সংযোযন কর (VAT) প্রভৃতি একত্রিভূত করে প্রায় 20% থেকে 60% বিবিধ শুল্ক ট্যাক্স বাবদ আদায় করা হয়।

উল্লেখ্য যে, বড়লোকের প্রাইভেট হাসপাতাল (যথা এভার কেয়ার, ইউনাইটেড, আয়েশা মেমোরিয়াল, ল্যাবএইড, স্কয়ার, আলী আসগর প্রভৃতি) সমূহকে তথাকথিত রেফারেল হাসপাতাল তকমা দিয়ে ব্যবহৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতির উপর বিবিধ শুল্ক রেহাত দেওয়া আছে। তেলে মাথায় তেল ঢালা।
* জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী
সামরিক বাহিনীর যানবাহন, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সামগ্রীকে উল্লেখিত শুল্ক সমূহ থেকে রেহাত দেয়া আছে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব আয়কর বোর্ড (NBR) কর্তৃক ভোগ্য পণ্য থেকে অগ্রিম, আয়কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অত্যাধিক শুল্কের কতক উদাহরন

AvBwf d¬zwqW ব্যাগ ছাড়া ইনফিউসন সেটে (Infusion Set) মোট শুল্ক 60.73%, মেমব্রেন ফিল্টারে 60.73%, আইভি কেনুলায় 38.83%, স্কাল্প (Scalp) ভেইন সেটে 38.83%, গ্লাভসে 28.47%, কার্ডিয়াক মনিটরে 30%, ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেটে 38.83%, ক্যাথেটার সাকসনে 38.83%, ডিফিব্রিলেটরে 26.20%, ডিষ্টিলড ওয়াটার প্লান্টে 27.88%, Gd¬z‡q›U ট্রিটমেন্ট প্লান্টে 26.20%, ইসিজি (ECG), ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram), ইএসআর (ESR) মেসিন, প্লাজমা এক্সUªyডার, রিয়েল টাইম পিসিআর (Real Time PCR), ষ্টেরিলাইজারে 27.88% , সার্জিকেল এডহেসিভ টেপে 38.47%, প্রস্রাবের ব্যাগে এবং প্রিফিল্ড ও অন্যান্য সিরিঞ্জে 38.83%, পালস অক্সিমিটারে (Pulse Oximeter) 15.25%, ভেন্টিলেটরের উপর মোট শুল্ক 11.67%। পূর্ণ তালিকা অনেক বড় হবে। (সংযুক্তি-1: সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করের বিবরন )

জীবন রক্ষাকারী প্রকৃতি প্রদত্ত অক্সিজেনের উপর 17.94% মূসক (VAT) প্রযোজ্য হয়। তদোপরি মাঝারি ধরনের 1.4 কিউবেক মিটার অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল্য 26,522 টাকা। এর মধ্যে প্রায় 2000.00 (দুই হাজার) টাকা বিবিধ ট্যাক্স।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জার্মান অক্সিজেন সরবরাহকারী বহুজাতিক কোম্পানী লিনডে (Linde Bangladesh) অন্য কোম্পানী থেকে অপেক্ষাকৃত সুলভে অক্সিজেন সিলিন্ডার আমদানী করলে বহুজাতিক কোম্পানী লিনডে তাতে অক্সিজেন ভরে দিতে অস্বীকার করেন। অথচ এই মুহূর্তে 1000 (এক হাজার), 1.4 কিউবিক মাধ্যম মাপের অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের সামর্থ লিনডের নেই।

জীবন রক্ষাকারী অতীব প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ল্যাবরোটরী রিএজেন্টস উপর 7 (সাত) প্রকার বিবিধ শুল্ক ও পদ্ধতির কারনে 11.67%, 17%,25%,26.67%, 30%,32.75%,38.83% ও 60.73% প্রভৃতি 8 (আট ) পদ্ধতির শুল্কায়ন হয়। হেপাটাইসিস সি এর ওষুধে 11.67%, বহুমূত্রের ওষুধ মেটফরমিনে 38.83%, উচ্চ রক্ত চাপের ওষুধ প্রাজসিনে 32.75%, ক্যান্সারের ওষুধ ট্যামোক্সিফনে 32.75% এন্টিবায়োটিক ভ্যানকোমাইসিনে 17%, এন্টিবায়োটিক অ্যামিকাসিন ও জেন্টামাইসিনে 26.67%। 8 রকম হারের শুল্কায়নে দূর্নীতি ও হয়রানী বাড়ে। (সংযুক্তি-2: সরকার কর্তৃক নিদ্ধারিত করের বিবরন)

10টি ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দলের প্রতি দুই সপ্তাহে
1000 (এক হাজার) করোনা রোগীর চিকিৎসা

1971 সনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে 5 জন চিকিৎসক, 25 অনধিক মেডিকেল ছাত্র এবং মেডিকেল সেবা সম্পর্কে অজ্ঞ কয়েক শত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের 2-4 সপ্তাহ ইনটেনসিভ মেডিকেল/ নার্সিং প্রশিক্ষন দিয়ে 480 শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালিত হতো সেখানে অসংখ্য আহত, গুলিবিদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থী চিকিৎসা পেয়েছেন। এই হাসপাতালের নিবেদিত প্রচেষ্টা ও সফলতা সবাইকে চমৎকৃত করেছিল।

ঢাকা শহরে সময়মত হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারায় রোগির অবনতি হয় এবং পরবর্তীতে ICU এর উপর চাপ বাড়ে। ICU তে মৃত্যুর হার উন্নতদেশ সমূহেও প্রায় 40% এবং চিকিৎসাও ব্যয়বহুল।

10 সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক, নার্স- প্যারামেডিক, ফিজিওথেরাপিষ্ট, প্যাথলজী টেকনিশিয়ান ও স্বেচ্ছাসেবক সমন্বিত দল করোনা রোগীর বাড়ীতে যেয়ে রোগীকে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করবেন, পরামর্শ দেবেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন। রোগীর প্রাথমিক সেবার জন্য পরিবারের একজনকে প্রশিক্ষন দেবেন যিনি ভ্রাম্যমান দলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন।

ভ্রাম্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি সেবামুলক সাশ্রয়ী পদ্ধতি
বাড়ীতে গিয়ে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দল চিকিৎসা সেবা দিলে জনগনের হয়রানী কমবে, তাদেরকে শয্যার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না, হাসপাতালের সেবার জন্য আয়া রাখতে হবে না, নার্স, সুইপারদের ডাকাডাকি করে মনক্ষুন্ন হতে হবে না। নিজ বাড়ীতে যে কোন আত্মীয়কে (স্বামী-স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, বাবা, মা, চাচী, দাদি, নাতি প্রভৃতি ) কয়েক দিনের প্রশিক্ষন দিলে রোগীকে যত্নসহকারে সেবা দিতে পারবেন। রক্তচাপ ও তাপমাত্রা দেখতে পারবেন, নিয়ম মাফিক ওষুধ সেবন করাবেন, রোগীর সমস্যা চিকিৎসকদের ফোন করে জানাবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেবেন, ঘরে বসে বিভিন্ন রিপোর্ট পাবেন। পরিবার সময় মত রোগীকে পছন্দের খাবার দিতে পারবেন। বাড়ীতে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করা যাবে। পরিবারের যাতায়াতের ভাড়া ও সময় সাশ্রয় হবে। চিকিৎসক বাড়ীতে যেয়ে প্রতিদিন রোগীকে দেখে পরামর্শ দেবেন। এ জন্য চিকিৎসা দলকে কোন ফি দিতে হবে না। সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে এবং খাদ্য সরবরাহে দূর্নীতি কমবে। রোগী নিয়মিত সব ওষুধ পাবেন। নিজ নিজ বাড়ীতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবার ফলে মাত্র 5-10% রোগীর ICU তে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে এবং অধিকাংশ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অর্থ ও সময় ব্যয় করে চিকিৎসা নেবার জন্য হয়রানীর মোকাবিলা করতে হবে না।

ছক-1: ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দলের গঠন (10) ছক-2: রোগাক্রান্ত পরিবারে সংরক্ষিত যন্ত্রপাতি

– 1 জন সিনিয়র চিকিৎসক –

-1 জন জুনিয়র চিকিৎসক –

-2 জন নার্স/পারামেডিক –

-1 জন প্যাথোজলী টেকনিশিয়ান-

-1 জন এক্সরে টেকনিসিয়ান –

– 1 জন ফিজিওথেরাপিষ্ট –

– 2 জন স্বেচ্ছাসেবক/ সেবিকা –

(১) ফ্লোমিটার ও অক্সিজেন মাস্ক সমেত অক্সিজেন ভর্তি ২ টি ১.৪ কিউবিক মিটার সিলিন্ডার (২) থার্মোমিটার (৩) নেইল কাটার (৪). টেপ ফিতা (৫) পালস অক্সিমিটার (৬) গরম পানি ও বরফ ব্যাগ (৭) রক্তচাপ নির্ণয়ক যন্ত্র ও স্টেথোসকোপ (৮) মাঝারী গরম পানির ফ্লাস্ক (৯) আলাদা প্লেট, চায়ের কাপ প্রভৃতি, (১০) ডিসইনফেকট্যান্ট (১১) ছোট টর্চ লাইট (১২) ৪ সেট বারবার ব্যবহার যোগ্য পারসোনাল প্রোটেকশান পোষাক (১৩) একাধিক কাপড়ের ফেইস মাস্ক (১৪) এন্টিসেপটিক ক্লোরোহেক্সাডিন (১৫) গজ ব্যান্ডেজ ও এডহেসিভ টেপ
চিকিৎসা শেষে সকল যন্ত্রপাতি ও ফ্লোমিটার সমেত অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত দিতে হবে।

ছক-3: 10 টি ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দলের জন্য মূলধনীয় (Capital) ব্যয় হবে প্রায় 10 কোটি টাকা ছক-4: বাড়ীতে রোগীর 15 প্রকার পরীক্ষার ব্যয় রোগী প্রতি 9540.00 টাকা

1.যানবাহন
(ক) মাইক্রোবাস এম্বুলেন্স (10)
(খ)মোটর সাইকেল (10)
(গ) 1.5 টন ট্রাক (3
2. জেনারেটর সমেত 300 এমএ মোবাইলএক্সরে (3)

3. মধ্যম সাইজের 1.4 কিউবিক মিটার অক্সিজেন সিলিন্ডার (1100)

4.উন্নত মানের অক্সিজেন নিবিড়ত্ব মাপক পালস
অক্সিমিটার (10)

5. পরিবারের জন্য সাধারন পালস অক্সিমিটার (1000)

6. ডিফিব্রিলেটর (10)

7.কার্ডিয়াক মনিটর (10)

i. বুকের এক্সরে ৭০০
ii. ইসিজি ৪০০
iii.স্পাইরোমেটরী পরীক্ষা ২০০
iv.এন্টিবডি এবং আরটি পিসিআর দ্বারা করোনা রোগ নির্ণয় ৩২০০
৪৫০০.০০
1. রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ৭০
2. সিবিসি (CompleteBlood Count) ৩০০
3. ইলেকট্রোলাইটস ৬০০
4. লিভার ফাংশন টেষ্ট ১০০০
5. এলবুমিন ৩০০
6. কেলসিয়াম ৩০০
7.বহুমূত্র পরীক্ষা ৭০
8. HbA1C ৭০০
9. লিপিড প্রোফাইল ৭০০
10. ডি-ডাইমার ৬০০
11. সি আর পি ৪০০
৫০৪০.০০

বাড়ীতে করোনা রোগীর চিকিৎসা
রোগের উপসর্গ বিবেচনা করে সাধারনত: করোনা রোগীদের চার ভাগে ভাগ করা যুক্তি সংগত,- (1) মৃদু (Mild) উপসর্গের রোগী (2) সহনীয় (Moderate) উপসর্গের রোগী (3) সহনীয় রোগীদের উপসর্গ (Moderate) রোগীদের সাথে অসংক্রমক রোগ (Non Communicable – NCD) (4) গুরুতর ( Severe) করোনা রোগী। সকল ক্ষেত্রে মূল প্রয়োজন মাফিক ওষুধ ও পুষ্টির ব্যবস্থা করলে সাধারনত দুই সপ্তাহের চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগী নিরাময় হবেন। 5-10% গুরুতর রোগীদের জন্য ICU ব্যবস্থা করতে হবে। সার্বিক চেষ্টার পরও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (ICU) প্রায় 40% রোগীকে বাঁচানো যায় না। স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, লাইফ সার্পোট মানে মৃত্যুর হাতছানি।
ব্যবহৃত ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যয়
মৃদু উপসর্গের (Mild) রোগীর চিকিৎসা সহনীয়( Moderate)
উপসর্গের রোগীর চিকিৎসা Amsµgক m‡gZ সহনীয় উপসর্গের করোনা রোগী (Comorbidiy +Moderate) তীব্র (Severe) করোনা রোগীদের সাধারনত : কোমমেরবিডিটি থাকে
১. টেবলেট ইভারমেকটিন ১২ মিলিগ্রাম করে ৫ দিন।

২. টেবলেট লেভোফ্লোক্সাসিন ৫০০ মিলিগ্রাম দৈনিক ১টা করে ৭ দিন।

৩. ভিটামিন সি ও ডি, জিংক টেবলেট এবং বি-কমপ্লেক্স সিরাপ-৭ দিন।

৪.টেবলেট মিথাইল প্রেডনিসোলন বা ডেক্সামেথাসন ৭ দিন।

৫.টেবলেট রিভারোক্সাবান ১০ মিলিগ্রাম ১৪ দিন।

৬. টেবলেট প্যারাসিটামল দৈনিক ১-২ করে ৭ দিন

৭.টেবলেট এন্টিহিস্টামিন বা সেট্রিজিন ১-২ টা করে X ৭ দিন

৮. পুষ্টিকর ফুড সাপ্লিমেন্ট ১. অক্সিজেন .প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা প্রতি মিনিটে + ৫-৭ লিটার অক্সিজেন প্রদান দৈনিক ব্যয় ৪০০.00 টাকা

২. মৃদু উপসর্গের সকল ওষুধের অতিরিক্ত নিম্ন লিখিত ওষুধ সমূহ দিতে হবে।

-টেবলেট মন্টিলুকাষ্ট ১৪ দিন

– টেবলেট ফেক্সোফেনাডিন ১৮০ মিলিগ্রাম ৭ দিন

– জি সলবুটামল সলিউশন ২ মিলিগ্রাম করে প্রতি ৪ ঘন্টা পরপর ১৪ দিন

-জি-ডেক্সামেথাসোন ইনজেকশন 5 মিলিগ্রাম
দিনে দুইবার
-নেবুলাইজেশন ইনজেকশন এসিটাইন সিসিটাইন সেবন 14 দিন
প্লাজমা সপ্তাহে একবার ১. প্রতিদিন 5-8 ঘন্টা প্রতি মিনিটে + 7-10 লিটার অক্সিজেন প্রদান, দৈনিক ব্যয় 600.00 টাকা

2.সহনীয় (Moderate) উপসর্গে
ব্যবহৃত ওষুধ সমূহের
অতিরিক্ত ইনজেকশন
মেরোপেনাম দিনে দুইবার।

বহুমূত্র থাকলে-
– টেবলেট মেটফরমিন 500 মিলিগ্রাম

– টেবলেট গ্লিকাজাইড 80 মিলিগ্রাম
উচ্চ রক্ত চাপ থাকলে
– টেবলেট লোসারটন 50 মিগ্রাম

– টেবলেট প্রাজোসিন 1-2 মিলিগ্রাম

– টেবলেট ফুসেমাইড ২০০ মি. গ্রাম দিনে একবার

সপ্তাহে একাধিকবার বুকের এক্সরে
১. হাসপাতালে স্থানান্তর ও প্রয়োজনে নিবিড় পরিচর্যা

২. প্রতিদিন ৮-১২ ঘন্টা প্রতিমিনিটে ১০-১৫ লিটার অক্সিজেন প্রদান।দৈনিক ব্যয় ১০০০.00 টাকা

৩. সহনীয় (Moderate) মাত্রার করোনা রোগীদের ক্ষোত্রে ব্যবহৃত ওষুধ ছাড়াও একাধিক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেরোপেনাম,ভ্যানকোমাইসিন, কলিষ্টিন ইনজেকশন প্রয়োজন হয়।

4. প্রয়োজন মাফিক হৃদরোগ ও বিকল কিডনী রোগের ওষুধ সমূহ

5. প্লাজমা সপ্তাহে 2 বার

সপ্তাহে ব্যয় + 20000.00 (বিশ হাজার) টাকা

আরো ব্যয় হবে প্রতিদিন এক্সরে ও বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষার জন্য আনুমানিক ব্যয় 8000.00 (আট হাজার) টাকা
সপ্তাহে ব্যয় : + 1000.00 টাকা সপ্তাহে ব্যয় + 8500.00 টাকা সপ্তাহে ব্যয় + 12000.00 টাকা

2000 (দুই হাজার) রোগীর চিকিৎসার নিমিত্তে প্রতিমাসে ভ্রাম্যমান চিকিৎসা দলের বেতন ভাতা, জ্বালানী, অক্সিজেন, ওষুধ ও পুষ্টিকর খাদ্য সহায়তা প্রভৃতির জন্য অমূলধনীয় (Recurrent) ব্যয় হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা অর্থাৎ রোগী প্রতি গড়ে 7500.00 (সাত হাজার পাঁচশত) টাকা।

সরকার, দানশীল ব্যক্তি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের দান ও জাকাত থেকে ছয় মাসের চিকিৎসা বাবদ 90 মিলিয়ন (9 কোটি) টাকা সংগ্রহ করা হবে। পরিবার রোগীর সকল পরীক্ষা ও প্লাজমা খরচ বহন করবেন।

সরকারের জরুরী কর্তব্য সমূহ

1. অক্সিজেন, ওষুধ, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী থেকে বিশেষ SRO (Statutory Regulatory Order) এর মাধ্যমে সকল প্রকার শুল্ক, অগ্রিম আয়কর, মূসক (VAT) প্রভৃতি প্রত্যাহার করা।

2. ICU পরিচালনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্স প্যারামেডিকদের প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করা- 200 জন চিকিৎসক ও 500 জন নার্স টেকনিশিয়ানকে ICU তে দ্রুত অক্সিজেন প্রদান (High Flow Nasal Canula), নন-ইনভেসিব শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া (Non-invasive Ventilatory Support), শ্বাসতন্ত্রে টিউব মারফত অক্সিজেন সরবরাহ (Intubation and Mechanical Ventilatory Support), অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া (ECMO- Exracorporeal Membrane Oxygenation) এবং শ্বাসনালী ট্যাকিয়া (Tracheostomy) ছিদ্র করে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এক মাসের প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করা।

3. সকল ওষুধের মূল্য এবং রোগ পরীক্ষার পদ্ধতি সমূহের চার্জ সরকার কর্তৃক নির্ধারন করে দেয়া।

4. কারাগারে আবদ্ধ সকল ব্যক্তিকে দ্রুত টিকা দেবার ব্যবস্থা নেয়া এবং খুনের দায়ে এবং দূর্নীতির কারনে দন্ডিত অভিযুক্ত ছাড়া অন্য সকলকে জামিনে মুক্তি দেয়া।

5. সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজ সমূহে প্রতিবছর 20.000 (বিশ হাজার) ছাত্র ভর্তি করা এবং MBBS পাশের পর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানকেন্দ্র এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্ণশীপ করা। অতীতে এই নিয়ম চালু করে দুই সপ্তাহ পর প্রত্যাহার করে ভুল করেছিলেন।

6. আগামী বাজেটে সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী সংস্কার, গভীর নলকুপ ও বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেডিকেল, নার্সিং, ফিজিওথেরাপী ও টেকনিশিয়ানদের জন্য ডরমিটরী, ক্লাসরুম, লাইব্রেরী, ডাইনিং রুম এবং 5 জন চিকিৎসক ও 10 জন নার্সিং, ফিজিওথেরাপি ও টেকনিশিয়ান প্রধানদের জন্য 600-700 বর্গফুটের বাসস্থান, বহি:বিভাগ সহ 30 শয্যার হাসপাতাল, ল্যাবরোটরী ও অপারেশন থিয়েটার নির্মানের জন্য 6 (ছয়) কোটি টাকা এবং অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে আলট্রাসনোলজী, চক্ষু ও বিভিন্ন ল্যাবরোটরীর যস্ত্রপাতির জন্য অন্যূন 4 (চার) কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিন। এরূপ উন্নয়নে ইউনিয়নের প্রায় একলক্ষ জনগনের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

7. লকডাউন কার্যকর করার জন্য দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারদের সরাসরি আর্থিক প্রণোদনার পরিবর্তে বিনামূল্যে মাসিক রেশনে চাল, ডাল, আটা, আলু, তেল, চিনি, পিয়াজ, রসুন প্রভৃতি দিতে হবে। রেশন বিতরনের জন্য সামরিক বাহিনী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এনজিও কর্মীদের ব্যবহার সুফল দেবে।

8. ট্রিপসের বাধ্যতামুলক (Compulsory) লাইসেন্সের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদন সুবিধা সৃষ্টির জন্য নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আপনার বিশেষ দূত করে ইউরোপে পাঠান।

9. ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য 0.5 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করুন, সুফল পাবেন।
10. গত বছর দ্রুত সিনোজাকের ট্রায়াল অনুমোদন না দিয়ে যে ভুল করা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

11. গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত এন্টিবডি এন্টিজেন অনুমোদন এক বছরে হয়নি। ড. বিজন কুমার শীলের ভিসা না হওয়ায় বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না। 6 মাস আগে 4 বিজ্ঞানীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা নগর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে Real time PCR ল্যাবরোটরী স্থাপিত হলেও ব্যবহার শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অদ্যাপি অনুমতি দেয়নি।
ক্ষতি হচ্ছে দেশের, বিষয়টি আপনাকে পুনরায় অবগত করলাম।

দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহনে জাতির কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা সমধিক।