বিআইপির গবেষণা প্রতিবেদন : ২৮ বছরে রাজধানীর ২৪ বর্গকিলোমিটার জলাধার উধাও

আপডেট: জুন ৩, ২০২৩
0

গত ২৮ বছরে রাজধানী থেকে ২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জলাধার উধাও হয়ে গেছে। এ সময়ে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার সবুজের মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯৫ সালে রাজধানীতে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটার। ২০২৩ সালে সেটা মাত্র ৪ দশমিক ২৮ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর মাত্র ২ দশমিক ৯১ শতাংশ জলাধার ও ৭ দশমিক ০৯ শতাংশ সবুজ রয়েছে। অথচ একটি আদর্শ শহরে ১২ শতাংশ জলাভূমি ও ১৫ শতাংশ এলাকায় সবুজ থাকা প্রয়োজন।
বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘২৮ বছরে রাজধানীর জলাধার ও সবুজ নিধন:বাস্টøবতা ও উত্তরণের পথনকশা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ ও গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ ইন¯িদ্বটিউট অব প্টè্যানার্স (বিআইপি) ও নগর উল্পুয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশ যৌথভাবে শনিবার রাজধানীর বিআইপি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রবল্পব্দ উপস্ট’াপন করেন বিআইপির সাধারণ স¤ক্সাদক শেখ মেহেদী আহসান। সভাপতিÍ^ করেন বিআইপির সভাপতি শেখ ফজলে রেজা সুমন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৮ বছরে রাজধানীর সবুজ, জলাধার, জলাভূমি, উš§ুক্ত স্ট’ান, গণপরিসর, পতিত জমি সবই ব্যাপক মাত্রায় কমেছে। কেন্দ্রীয় নগর এলাকায় সবুজের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৭৮ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে ১০ দশমিক ৪২ একরে নেমেছে। জলাধার ও জলাভূমি ৩০ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটার থেকে কমে ৪ দশমিক ২৮ বর্গকিলোমিটার হয়েছে। ফাঁকা জায়গা ও পতিত জমিও কমেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্ট’ানীয় সরকার, পল্কèী উল্পুয়ন ও সমবায়মšúী তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্বৃত্তায়ন উত্তরাধিকার সহৃত্রে প্রাপ্টিøর ফলে ভরাট-দখলদারিÍে^র সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হতে সময় লাগছে। মানুষই পরিবেশ দহৃষণ করে এবং মানুষই দহৃষণ প্রতিরোধ করতে পারে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বল্পব্দ না হলে ঢাকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের সবুজ ও জলাভূমি রক্ষায় এই নগরে কত মানুষ বসবাস করবে তারও একটি নির্দি®দ্ব সীমা থাকা প্রয়োজন। অসংখ্য মানুষের চাপে যেকোনো ভালো পরিকল্কপ্পনা ও নাগরিক সুবিধা ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য। সীমার অতিরিক্ত মানুষ ঢাকায় বসবাস করাকে নিরুৎসাহিত করতে নানা ধরনের পরোক্ষ নীতিমালা নেওয়ারও সময় এসেছে।

তিনি বলেন, সরকার সুশীল সমাজের গঠনমহৃলক সমালোচনা ও আন্দোলনকে সাধুবাদ জানায়। আবার সামাজিক আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চে®দ্বার উদাহরণও আমাদের দেশে আছে। বৃক্ষ নিধন, জলাশয় দখল ও নদী দহৃষণের বিরু™েব্দ সরকার সোচ্চার। কারণ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবুজ ভূমি এবং জলাভূমিও গুরুÍ^পহৃর্ণ। খাঁচার মতো অবকাঠামোয় মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংবিধানকে রা®েদ্ব্রর সর্বোচ্চ আইন উল্কেèখ করে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ ও জলাভূমি দখলমুক্ত রাখার উপর গুরুÍ^ আরোপ করেন। ঢাকা মহানগর বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু উল্কেèখ করে তিনি বলেন, বসবাসযোগ্য ঢাকা অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য এবং রাজধানী ঢাকা না বাঁচলে আমাদের অর্থনীতি বাঁচবে না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া দিঘী ভরাট, হাতিরঝিলের লেক ভরাট এবং গাবতলীতে বিএডিসির জন্য নিল্ফুভূমি ভরাট এখনই বল্পব্দ করতে হবে।

বিআইপির যু¹§ স¤ক্সাদক রাসেল কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন রাজউকের বোর্ড সদস্য মেজর (অবঃ) শামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সোসাইটি অব এক্সপার্টস অন এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্টের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্কপ্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বাংলাদেশ স্থপতি ইন¯িদ্বটিউটের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাল্ফ§দ আলী নকী, ¯দ্ব্যামফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নগর উল্পুয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল, সাধারণ স¤ক্সাদক সোহেল মামুন প্রমুখ।