বিএনপির আয়োজনে শুরু হয়েছে দুইদিনের ‘মুক্তিযুদ্ধের বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২২
0

জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তন প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ‘সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি’র আয়োজনে সকাল ১১টায় বিএনপির স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জাতীয় পতাকা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এই সময়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির একদল শিল্পীর পরিবেশনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

প্রতিদিনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত এই মেলা খোলা থাকবে সর্বসাধারণের জন্যে। মেলায় বিশিষ্ট লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, গবেষণা, গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও বিশ্বেষনধর্মী বই রয়েছে।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের বইমেলায় জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর আলোকচিত্র ও চিত্র কর্মও স্থান পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বইমেলার উদ্বোধনের পর মেলা প্রাঙ্গনে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেথা গেছে।

বইমেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মুক্তিযুদ্ধের বইমেলার উদ্বোধন করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে এবং বাংলাদেশের ৫০ বছরের ঘটনাবলীকে ধরতেই মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন যারা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা জিয়াউর রহমান করেছেন-এটা সত্য ঘটনা, সত্য ইতিহাস। এটাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।”

‘‘ আজকে যারা গায়ের জোরের সরকার তারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ওই মুক্তিযুদ্ধের সূচনার ঘটনাকেও আজকে বিকৃত করছে এবং বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। সেজন্য আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা। আমরা বলতে চাই, সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেয়া যায় না, কেউ ধামাচাপা দিতে পারেনি।”

তিনি বলেন, ‘‘ এই জিয়াউর রহমান, তার পরিবারকে আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় তারা ভয় পায়। কেননা এই আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতারা যে যেই ক্ষেত্রে ভুল করেছে, ব্যর্থ হয়েছে, সেই সকল ক্ষেত্রে বিএনপি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান. দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই সেই ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, সেই সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভুমিকা রেখেছেন।”

‘‘ যদি সত্য ঘটনাগুলো আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। যদি মুক্তিযুদ্ধের কথা আমরা যেটা বলতে চাই, আজকে সেই সত্য যদি প্রতিষ্ঠিত করে আজকে স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তুকে যদি সত্যিকারের ঘটনা লেখা হয় তাহলে তারা যে মিথ্যাচার করছে সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। তবে এটা সত্যিই যে যেই বই পড়ুক না কেনো, যা যেখানে লেখা থাকুক না কেনো ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ লিখতে পারে না, বিকৃত করতে পারে। ইতিহাস কিন্তু সময়মত সত্যিকার ইতিহাসকে ঐতিহাসিকরা লেখবেন। এখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস দেশে-বিদেশের বইয়ে ইতিমধ্যে লেখা আছে। এই লেখা আওয়ামী লীগ মুছে ফেলতে পারবে না।”

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার আহবান জানান খন্দকার মোশাররফ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানসহ বীর ‍মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনায় ‘বস্ত্র ও পোষকশিল্পের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের চিত্রশিল্পী হীরা সোবহান কয়েকটি চিত্র কর্ম উপহার দেন।

স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ‘সাজ সজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি’র আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সালাম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, চিত্র্রশিল্পী অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, জাসাসের আহসানুল হক চৌধুরী, আলোকচিত্রী নুর উদ্দিন আহমেদ নূরু, পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন বক্তব্য রাখেন।