বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার, নিন্দা জামায়াতের

আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৩
0

বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুস সামাদসহ ছয়জন এবং এশার নামাজ শেষে বের হওয়ার পর দু‘জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা‘ছুম এ বিষয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আলীর মোড় এলাকার একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে বর পক্ষ হয়ে যোগ দেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ। কিন্তু পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই বিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, শরিফুজ্জামান হাসান এবং কনে পক্ষসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং বিবাহ অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেয়। পুলিশের এ ধরনের আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং খুবই ন্যক্কারজনক। আমি এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এদিকে রাজপাড়া থানার সহকারী সেক্রেটারি বাবর আলী লিটন এবং জামায়াতকর্মী এখলাসুর রহমান এশার নামাজ শেষে বের হওয়ার পর তেরখাদিয়া বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সামনে থেকে রাজপাড়া থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কোনো স্বাধীন দেশের নাগরিকের ওপর কোনো কারণ বা মামলা ছাড়াই শুধু জামায়াত করার কারণে পুলিশের এভাবে গ্রেফতার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে দেশের কোনো মানুষই নিরাপদ নয়। মসজিদ ও বিবাহ অনুষ্ঠান এবং জানাজা ও দাফন-কাফনের মত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান থেকেও সরকার দেশের নাগরিকদের নির্বিচারে গ্রেফতার করছে। জামায়াত এদেশের নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও বৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক দল। জামায়াতের শিকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে। গ্রেফতার, মামলা-হামলা, হয়রানি করে জামায়াতকে উৎখাত করা যাবে না। শুধু আওয়ামী বাকশালী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। দেশকে আজ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না।

একপেশে আচরণ পরিহার করে দলমত-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার ও জানমাল-ইজ্জত-আব্রু হেফাজত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি এবং জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে জামায়াতে ইসলামীর গ্রেফতার হওয়া সকল নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি