বিশেষ বিমানে বসুন্ধরা পরিবারের ৮ সদস্যদের ঢাকা ত্যাগ

আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২১
0

ডেস্ক রিপোর্ট:
বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী-সন্তানসহ ওই পরিবারের আট সদস্য বিশেষ বিমানে করে ঢাকা ছেড়েছেন। তারা এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৮ মিনিটে তাদের বহনকারী বিমান ভিপিসি-১১ দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে তারা দেশ ছাড়েন। আনভীরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হওয়ার তিন দিনের মাথায় তারা দেশ ছাড়লেন। দুবাই তাদের প্রাথমিক গন্তব্য বলে জানা গেছে। সেখান থেকে তারা অন্য কোথাও যেতে পারেন।

তারা কবে দেশে ফিরবেন এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে প্লেনটি মে মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত ভাড়া করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে যাওয়ার আবেদন করে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। আবেদনে তারা ২৭ এপ্রিল দেশত্যাগের কথা বলেছিলেন। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত স্থগিত ছিল। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) তাদের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমোদন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ইমিগ্রেশনকে জানিয়ে দেয়া হয় যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই কেবল তারাই ওই ফ্লাইটে যেতে পারবেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, চার্টার্ড ফ্লাইটটিতে দেশ ছেড়েছেন সায়েম সোবহান আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, তাদের দুই সন্তান, ছোট ভাই সাফওয়ান সোবহানের স্ত্রী ইয়াশা সোবহান, তাদের মেয়ে ও পরিবারের তিনজন গৃহকর্মী ডায়ানা হার্নানডেজ চাকানান্দো, মোহাম্মদ কাদের মীর ও হোসনে আরা খাতুন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে তাদের ভাড়া করা এই বিমানটি ঢাকায় আসে। পরে ভিপিসি-১১ ফ্লাইটে রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে ঢাকা থেকে উড়ে যান তারা।

সূত্র আরও জানায়, রাত ৮টায় তারা বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। দুবাইয়ে গিয়ে তাদের সবার করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ২৭ এপ্রিল আদালত তার বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।