বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের নারীরা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
0

থাইল্যান্ডকে সেমিফাইনালে ১১ রানের হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো নিগার সুলতানারা। মূলত কোয়ালিফায়ার পর্বে ফাইনাল খেলা দুটো দল খেলবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর প্রথম সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে উঠে তা নিশ্চিত করেছে বাঘিনীরা।

শতভাগ জয় নিয়েই সেমিফাইনালে পা রেখেছিল বাংলাদেশের নারীরা। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র নারী দলকে। ফলে অনুপ্রাণিত, উজ্জীবিত, প্রফুল্লিত হয়েই ফাইনালে থাই কন্যাদের মুখোমুখি হয় নিগার সুলতানার দল। বিপরীতে গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে জয় পেলেও থাইল্যান্ড হেরে যায় জিম্বাবুয়ের সাথে।

দুবাইয়ে আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় থাই অধিনায়ক চাইহুয়াই। এক পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেও পরবর্তী দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হওয়ায় একাদশ থেকে বাদ পড়েন শামিমা সুলতানা। বদলে একাদশে সুযোগ পান ফারজানা হক।

ফারাজানা হকও সফল হতে পারেননি। ফিরেছেন ১৭ বলে ১১ রানে। তবে আসর জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা মুর্শিদা খাতুন টেনে নিয়েছেন দলকে। ফলে উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৩৪ রান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। রান আউট হয়ে ফিরে যাবার আগে খেলেন ৩৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস। দলকে টেনে নিতে ব্যর্থ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। আগের তিন ম্যাচের দুটোতেই অর্ধশতক ছোঁয়া নিগার ফিরেন ১৭ রানে। তবে রুমানা আহমেদের ২৪ বলে ২৮ আর রিতুর ১০ বলে ১৭ রানে কোনো রকমে দলীয় একশো পেরোয় বাংলাদেশ। থামে ১১৩ রানে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের আগ্রাসী বোলিংয়ে কোণঠাসা থাইল্যান্ড। দলীয় ১৩ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ১৩তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক চাইহুয়াই যখন ফিরেন দলের রান তখন ৪ উইকেটে মাত্র ৪৫। ফলে সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে সেই স্বপ্ন দেখতে থাকা গভীর ঘুমের আচ্ছন্নতায় যেন পানে ঢেলে দেন নাত্থাকান ছানতাম। তার বীরোচিত ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২২ রান। আর শেষ ২ বলে ১২ রান। কিন্তু সালমা খাতুনের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে শেষ দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে যায় ১১ রানে। ১৮ রানে তিন উইকেট পান সালমা খাতুন, মাত্র ৭ রানে দুই উইকেট সানজিদার।