বৃষ্টির জন্য মাঠে নামাজ জামাতে নামায পড়লেন শৈলকুপার কৃষকরা

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২১
0

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ:
বৃষ্টির জন্য মাঠে নামাজ জামাতে নামায পড়লেন শৈলকুপার কৃষকরা । প্রচন্ড খরতাপে পুড়ছে জনজীবন। রোদ আর গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৈশাখের অর্ধেক মাস পেরিয়ে গেলেও নেই বৃষ্টি। বৃষ্টির না হওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসল। নেমে গেছে পানির স্তর।

দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। তাই বৃষ্টির আশায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর গ্রামের মাঠে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইস্তেখারা) আদায় করেছেন গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে মির্জাপুর গ্রামের খোলা আকাশের নিচে ফাঁকা মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন উত্তর মির্জাপুর জামে মসজিদের মাওলানা ইমাম মোহাম্মদ উল্যাহ। এ বিষয়ে ইমাম মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য খুব বিপদে আছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নাত। আর চাওয়াকে আরবিতে সালাতুল ইস্তেখারা বলা হয় অর্থাৎ পানির জন্য দোয়া করা।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, গড়াইসহ বেশকিছু নদ-নদী প্রবাহিত। তবে একমাত্র গড়াই বাদে সবই এখন মৃত। ঝিনাইদহ জেলায় নদ-নদীর সংখ্যা ১২। এসব নদ-নদীর দৈর্ঘ্য ৪৮৪ দশমিক ৯০ কিলোমিটার।

এসব নদীগুলো একসময় নদীপাড়ের মানুষদের কৃষিকাজসহ জীবিকার প্রধান মাধ্যম ছিল। নদীতে চলাচল করতো বড় নৌকা ও জাহাজ। কলকাতার সঙ্গে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল এ অঞ্চলের জলপথ।

কিন্তু কালের বিবর্তনে পাল্টে গেছে চিত্র। এখন আর নদীতে চলে না মালবাহী নৌকা। বর্ষা মৌসুমে কিছুটা পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই শুকিয়ে যায় এসব নদ-নদী। ফলে এখানকার জীববৈচিত্র রয়েছে হুমকির মুখে। অন্যদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ঝিনাইদহে হাজার হাজার নলকূপে পানি উঠছে না।

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,
ঝিনাইদহ অফিস,