ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিলেন কাদের মির্জা

আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২১
0

নোয়াখালীতে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ীতে তুলে নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় আটকে রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের জুবলি রোডের মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কাদের মির্জার রোষানলের শিকার মেসার্স ছাত্তার ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ইন্ডাস্ট্রির মালিক আবদুল ওহাব (৫২) ও তার পরিবারের মাঝে চলছে চরম হতাশা উৎকণ্ঠা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব অভিযোগ করে বলেন, তার পৈত্রিক ক্রয়কৃত ৪ শতকের জায়গার ওপর (মেসার্স ছাত্তার বিস্কুট বেকারি অ্যান্ড ব্রেড ইন্ডাস্ট্রির) ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। এতে ১৫ জন কর্মচারী কাজ করে। দীর্ঘ দিন থেকে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন ওবায়দুল কাদের নির্বাচন ও কাদের মির্জার নির্বাচনে কাজ করেছেন। তারা পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। কিছু দিন আগে কাদের মির্জা আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খাস জায়গায় বলে অভিযোগ তুলেন। এরপর হঠাৎ করে গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে কাদের মির্জা লোকজন নিয়ে এসে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারপর ৪ দিন পর ডেকে নিয়ে চাবি দিয়ে দেয়। আমাদের জায়গার সকল কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। কিন্তু রেকর্ডের সময় ভুলে আমাদের নামটি বাদ যায়। তখন আমরা রেকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করি। এ নিয়ে গত ৪ থেকে ৫ বছর রেকর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলছে। এসব কাগজপত্রও আমরা পৌরসভায় জমা দিয়েছি।

ওহাব অভিযোগ করে আরো বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কাদের মির্জা দোকানে এসে আমাকে ঘুষি মেরে তার অনুসারীদের দিয়ে আমাকে উঠিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার দোকান থেকে আমাকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে একটি ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার সময় আমাকে জানানো হয় এতে কোনো সমস্যা হবে না। পরে স্ট্যাম্পের বিষয়ে আমার সাথে কথা বলা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগের করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।