ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খানের মৃ্ত্যুতে তারেক রহমান- মীর্জা ফখরুলের শোক

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২১
0

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা-২০ সংসদীয় আসনে চারবারের সাবেক সাংসদ, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ছেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান গতরাত ১০টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারা পৃথক বানী দিয়েছেন গণমাধ্যমে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক পেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বানী পাঠানো হয়েছে।

আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ধামরাইয়ের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। একই সাথে তিনি পার্লামেন্টে জনগণের কথা তুলে ধরেছেন। একজন আইনজ্ঞ হিসেবেও তিনি সফলতার সাথে কাজ করেছেন। বিএনপি’র রাজনীতিতে তিনি বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী মরহুম জিয়াউর রহমান খান বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনগণের নিকট ছিলেন অত্যন্ত সমাদৃত।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসাবোধ ও জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত আপনজন। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা। তাঁর মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।
আমি মরহুম ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর শোকবার্তা

অপর এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ছেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালো। তিনি একজন প্রাজ্ঞ, জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। এজন্যই ধামরাইবাসী তাঁকে বারবার তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছে।

মরহুম ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান একজন প্রথিতযশা আইনবিদ ছিলেন। তাঁর পিতা আতাউর রহমান খান তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পিতার কাছ থেকে জনকল্যাণে রাজনীতির শিক্ষা নিয়ে তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বিএনপি-তে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী, সৎ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ মরহুম ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে যেভাবে নিবেদিত থেকেছেন সেজন্য দেশবাসী তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি আজীবন শ্রদ্ধাশীল এই গুণী মানুষটি ছিলেন একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ।
আমি ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।”