ভারতের কর্ণাটকে হিজাব পরায় কলেজে পরীক্ষায় বসতে দিলো না দুই ছাত্রীকে

আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২২
0

ভারতের বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের একটি কলেজে হিজাব পরিহিতা দুই ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ (শুক্রবার) থেকে কর্ণাটক প্রি-ইউনিভার্সিটি ২য় বর্ষের (দ্বাদশ শ্রেণি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ সময় দু’জন ছাত্রী হিজাব পরে থাকার কারণে তাদের পরীক্ষা না দিতে দেওয়ায় তারা পরীক্ষা ত্যাগ করে ফিরে যান।

রাজ্যটিতে হিজাব বা ধর্মীয় পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনো পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে মুসলিম মেয়েদের পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, হিজাব পরিধান করে পরীক্ষা দিতে আসা মুসলিম মেয়েরা বলেন, পরীক্ষার সময় তারা এটি ভিতরে থেকে খুলে রেখে পরীক্ষা শেষ হলে আবার পরবেন।

হিন্দি গণমাধ্যম ‘জনসত্তা’য় প্রকাশ, আজ উডুপির বিদ্যাদয় পিইউ কলেজে আলিয়া আসাদি এবং রেশম নামে দু’জন ছাত্রী বোরকা পরে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। এ সময় কলেজের সুপারভাইজার ও অধ্যক্ষের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে তাদের বিতর্ক হয়। তারা চেয়েছিলেন তাদেরকে বোরকা পরে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হোক। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় উভয় ছাত্রী পরীক্ষা না দিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে চলে যান।

বেঙ্গালুরুতে একজন মুসলিম ছাত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হিজাব গুরুত্বপূর্ণ এবং সমান গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় লেখা এবং উত্তীর্ণ হওয়া। আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে।’

এবার অনেক মুসলিম ছাত্রী পরীক্ষার সময় হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ আগেই সাফ জানিয়ে দেন, পরীক্ষার সময় কাউকে হিজাব পরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না।

২২ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে ১,০৭৬ টি কেন্দ্রে ৬.৮৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এই পরীক্ষা চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। যেহেতু হিজাব বা ধর্মীয় পরিচয়ের সাথে যুক্ত কোনো পোশাক নিষিদ্ধ, তাই পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ মুসলিম মেয়েদের পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার ব্যবস্থা করেছে। কর্ণাটক হাইকোর্ট গত মাসে স্কুল ও কলেজে সমতা, অখণ্ডতা এবং জনশৃঙ্খলাকে ব্যাহত করে এমন পোশাক পরার বিষয়ে রাজ্য সরকারের আদেশ বহাল রেখেছিল। হাইকোর্টের এ সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড’।#