ভারতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে অসুস্থ আলালকে ফেরত পাঠানো অমানবিক ও ন্যাক্করজনক— মীর্জা ফখরুল

আপডেট: জুন ১৪, ২০২২
0

ভারতে চিকিৎসার নিয়মিত চেকআপের জন্য গত ১২ জুন ২০২২, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সস্ত্রীক ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

আলালকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনাকে অমানবিক, ন্যাক্কারজনক ও সরকারের একরোখা নীতিরই বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুমের ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়মিত চেকআপের জন্য ভারতে যেতে বাধা দিয়েছে। জনাব আলালকে বিমানবন্দরে যাতে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে হাইকোর্টের অনুমতি এবং চিকিৎসার কাগজপত্র দেখানোর পরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয়কে আমলে না নিয়ে জনাব আলালকে বিদেশ যেতে বাধা প্রদানে আবারো প্রমাণিত হলো-সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

আলালকে সুচিকিৎসায় বাধা দেয়া বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর একটি জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ। আমি সরকারের এই ন্যাক্কারজনক ও নিষ্ঠুর কর্মকান্ডে ধিক্কার জানাই, প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে জনাব আলালকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।”

এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ হতে বরগুনা জেলাধীন আমতলী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান হিরু, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক কবির তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ জসিম মেম্বার, আমতলী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মহসিন, আঙ্গরপাঙ্গাসিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সগির, ছাত্রদল নেতা মোঃ বায়জিদসহ ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দেশ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উচ্ছেদ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার। সরকার উন্নয়নের নামে মূলতঃ বিএনপি-কে ধ্বংস করার কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।

আর এরই ধারাবাহিকতায় আমতলীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। তবে এভাবে সর্বনাশা হিংসার আশ্রয় নিয়ে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত উল্লিখিত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।