ভাষাসৈনিক ,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের পরলোকগমনে ডা. জাফরুল্লাহর শোক

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
0

ভাষাসৈনিক ,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের পরলোকগমনে
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল
৯০ বছর। রণেশ মৈত্র স্ত্রী পূরবী মৈত্র, দুই ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ভাষাসৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট, পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ
সম্পাদক রণেশ মৈত্র পরলোকগমনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক শোক বার্তায় বলেন, “৫২’র ভাষা আন্দেলন,একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধে সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় থাকবে। স্বাধীনতার আগে এবং পরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় তিনি মফস্বল সাংবাদিকদের মান উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।
১৯৫১ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নওবেলাল পত্রিকার মাধ্যমে তার
সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যযুগে তিন বছর সাংবাদিকতার পর ১৯৫৫ সালে তিনি যোগ দৈন দৈনিক সংবাদে। ১৯৫৫ সালে তিনি যোগ দৈনিক সংবাদে,১৯৬১ সালে ডেইলি মর্নিং নিউজ,১৯৬৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দৈনিক অবজারভারে পাবনা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে দি নিউ
নেশনের মফস্বল সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর ১৯৯৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত
দি ডেইলি স্টারের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
২০০০ সালের পর হতে তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসাকব দেশের শীর্ষ
পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে সারা দেশে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ১৯৬১ সালে পাবনায় পূর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত পূর্ব-পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
হন। সেই বছরেই প্রতিষ্ঠিত পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।
শোক বার্তায় ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, সাংবাদিক রণেশ মৈত্র
আজীবন কৃষক, শ্রমিক, তাঁতী ও মেহনতী মানুয়ের অধিকার আদায়ে রাজনৈতকি
আন্দেলনে নেতৃত্ব দেন। ৫০’র দশকে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিখা সংগঠন’ গঠন করেন এবং শিখা নামে হাতে লেখা পত্রিকাও প্রকাশিত করেন।
রণেশ মৈত্র এক ডজনের বেশি গ্রন্থের লেখক। ছাত্র ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, তাঁতি অধিকার প্রতিষ্ঠা, ঘুঘুদহ ও বিল কুড়ানিয়ার খেতমজুরদের আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।

শোক বার্তায় তিনি সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের পরলোকগমনে আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।”