ভাষা সৈনিক খোন্দকার দেলোয়ার হোসনের ১২তম ও ব্যারিস্টার মওদুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী: মীর্জা ফখরুলের বাণী

আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৩
0

খোন্দকার দেলোয়ার ও ব্যারিস্টার মওদুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে প্রয়াতদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের স্মরণ করবে বিএনপি। এ দুনেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব ভাষা সৈনিক খোন্দকার দেলোয়ার হোসনের ১২তম ও ব্যারিস্টার মওদুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত পৃথক বাণীতে বিএনপির দুই প্রযাত বরেণ্য নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক, বিএনপি’র ক্রান্তিলগ্নের সাবেক মহাসচিব ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাণী পৃথকভাবে দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো———

“বিএনপি’র ক্রান্তিকালের সাবেক মহাসচিব ও দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আইনী পেশার পাশাপাশি মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন একজন দৃঢ়চেতা ও আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল, সরল ও অনাড়ম্বর জীবন-যাপন এবং প্রখর ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান।

মরহুম দেলোয়ার হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবার নানা কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব¡ কাঁধে নিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দেশ ও দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ দর্শণকে বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে এ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এর অবদান চিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”

সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাণীটি হুবুহু দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ——
“বাংলাদেশের রাজনীতিতে মরহুম ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। তিনি আমাদের সকলের জন্য ছিলেন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যখনই গণতন্ত্রের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তখনই তিনি গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বৈরাচারের সকল নির্দয় উৎপীড়ণকে সহ্য করেও তিনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন অনঢ় ও দ্বিধাহীনভাবে।

অত্যাচারির রক্তচক্ষু তাঁর দৃঢ় মনোবলকে কখনোই দুর্বল করতে পারেনি। রাজরোষে পড়া সত্ত্বেও তিনি দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে দ্বিধা করেননি, তাই বারবার কারাবরণসহ নিপীড়ণ-নির্যাতন সহ্য করেও নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে অগণতান্ত্রিক সরকারের অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন। নিজস্ব মতাদর্শে তিনি ছিলেন নির্ভয় ও অবিচল। তাঁর কর্মময় জীবনের সাফল্যের মূলে ছিল আদর্শনিষ্ঠ উদ্যম ও উদ্যোগ। জনাব মওদুদ এদেশের একজন প্রথিতযশা আইনজীবী ছিলেন। সংবিধান, আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি ছিলেন আপোষহীন।
স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর জাতীয়তাবাদী দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্র্ েউত্তরণের সাহসী সংগ্রামে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”