ভূরুঙ্গামারীতে আগাছানাশক বিষ ছিটিয়ে বোরো বীজতলা নষ্টের অভিযোগ

আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
0

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অতিরিক্ত পরিমাণ আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে বোরো বীজতলার ধানচারা নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বীজতলা মালিকদের অভিযোগ পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই বীজতলায় প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের আঁধারে আগাছানাশক বীষ প্রয়োগ করে নষ্ট করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বলছেন,ওই বীজতলা দিয়ে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্য ছিল তাদের। বোরো ধান রোপনের আগ মুহূর্তে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
এব‍্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষে জাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অপরদিকে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে,ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের মাহিগঞ্জ মধ্যপাড়া গ্রামের প্রায় ২০ জন কৃষকের ইরি বোরো ধানের বীজতলায় আগাছা নাশক বিষ প্রয়োগ করা হয়। এই বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান রোপন করা যেতো। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধারনা, ২০ বিঘা জমি নিয়ে প্রতিবেশী ছাইদুল ও ওসর আলী গংদের সাথে বীর মুক্তি যোদ্ধা সৈয়দ উদ্দিনের মামলা চলছে। এই মামলার কারণে তারা বীজতলায় বিষ প্রয়োগ করতে পারে।
বীজতলার মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী জাহিদুল, স্বপ্না খাতুন ও ময়না খাতুন বলেন, বীজতলায় বিষ প্রয়োগের বিষয়টি আমরা প্রথমে বুঝতে পারি নাই। বীজ তলার চারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার পর গত শুক্রবার (২৭জানুয়ারি) সকালে জমিতে গিয়ে বুঝতে পারি আগাছা নাশক বীষ প্রয়োগ করা হয়েছে। আগাছানাশক দিয়ে বীজতলা নষ্ট করে দেওয়ার কিভাবে চারা রোপন করবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। কোথাও চারা খুজে পাচ্ছিনা। আমরা বীজতলা নষ্টকারীদের বিচার চাই।
কৃষক বিরাজ, রাসেল ও আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের সাথে কারো কোন মামলা নেই। কিন্ত ঐ মুক্তিযোদ্ধার পাশের জমি আমাদের হওয়ায় আমাদের লাগানো চারা খেতেও বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে।
বীজতলা নষ্টের অভিযোগে অভিযুক্ত ছাইদুল ও ওসর আলী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা বীজতলা নষ্ট করিনি। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বঙ্গ সোনাহাট ইউপির চেয়ারম‍্যান ময়নুল হোসেন লিটন বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূজন কুমার ভৌমিক বিষ প্রয়োগে বীজতলা নষ্ট হওয়ার সত‍্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একজন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রনোদনা পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সেয়ই প্রনোদনা দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, ঘটনাস্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
###
২৮-০১-২৩