ভূরুঙ্গামারীতে ফারাক্বায় লংমার্চ দিবস স্মরনে দুধকুমার নদ ভাঙন রোধে মানববন্ধন

আপডেট: মে ১৬, ২০২১
0

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঐতিহাসিক ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ দিবস স্মরণে দুধকুমার নদের ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৬ মে) উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দুধকুমার নদের ভাঙন কবলিত বাগবাড়ি গফুরের ঘাট এলাকায় বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনে ‘র সহযোগিতায় ভাসানী পরিষদ, মাওলানা ভাসানী কৃষক সমিতি ও মাওলানা ভাসানী স্মৃতি সেবা সংঘ যৌথভাবে এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। নদী ভাঙনের শিকার শতশত মানুষ এতে অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে দুধকুমার পাড়ের ভাসানীর বাড়ি থেকে গফুরের ঘাট পর্যন্ত ঐতিহাসিক ফারাক্বা দিবস স্মরনে প্রতিকী লংমার্চ পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে পদ্মা নদীর উজানে ভারত সরকার কর্তৃক অবেধভাবে ফারাক্কা বাঁধ তৈরির প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পর্যন্ত প্রায় ৬৪ মাইলব্যাপী ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফারাক্কার প্রাণঘাতি ব্যারেজ ধ্বংস করে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের দুই পাশের মানুষ, পশুপাখি, জীব-অনুজীব অর্থাৎ দৃশ্যমান বা দৃশ্যের বাইরে থাকা সকল প্রাণের রক্ষা এবং তাদের হেফাজত নিশ্চিত করার জন্য মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাওলানা ভাসানী, যা ফারাক্কা লংমার্চ (ফারাক্বা দিবস) নামে পরিচিত।

দিবসটি স্মরণ ও দুধকুমার নদের ভাঙন রোধকল্পে মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা দেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, দুধকুমার নদের ভাঙন রোধ ও তীর রক্ষার স্থায়ী সমাধান, তিস্তা প্রকল্পের অনুরূপ ‘দুধকুমার নদ প্রকল্প’ গ্রহনের মাধ্যমে সোনাহাট স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বিশেষ অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জোর দাবী জানান।
ভাসানী পরিষদের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সভাপতি ইউনুস আলী সবুজের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব‍্য রাখেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও ভাসানী পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা লিডার ড. শফিকুল ইসলাম কানু।

তিনি বলেন, মজলুম জননেতার দেখানো পথ ধরে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় আমাদের সময়ের দাবী। এই দাবী আদায়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হতে হবে।
সমাবেশে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব‍্য দেন মাওলানা ভাসানী কৃষক সমিতির সভাপতি ও ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী।

তিনি বলেন, ভারত থেকে আসি ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ের মাধ্যমে আমাদের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা ও অর্থনীতির জন্য টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সোনাহাট স্থলবন্দর স¤প্রসারণ করে ‘দুধকুমার নদ বহুমুখী প্রকল্প’ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের দারিদ্র্য ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহীন শিকদার, ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম, মওলানা ভাসানী স্মৃতি সেবা সংঘের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান ভাসানী, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোকাদ্দেস হোসেন শিকদার, দীপক কুমার রায়, হাফিজুর রহমান খান প্রমুখ।
####

আমিনুর রহমান বাবু