কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কয়েলের আগুনে এক গরুর খামারির গোয়াল ঘরে আগুন লেগে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিনটি বিদশী জাতের গাভী মারা গেছে। গুরুতর আহত হয়ে কাতরাচ্ছে একটি গরুু।অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার(১৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারীর ইউনিয়নের ভাওয়ালগুড়ি গ্রামের সবুজ মিয়ার গরুর খামারে। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্হানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন , সোমবার রাতে আমার এলাকার ছফর উদ্দিন এর পুত্র সবুজ মিয়ার গরুর খামারে আগুন দেখে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও আগুনে দগ্ধ হয়ে তিনটি গরু মারা গেছে ও দুটি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।এতে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন হয়েছেন সবুজ মিয়া মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি সবুজ মিয়া বলেন, গরুর খামারে আগুন লাগার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি প্রতিবেশিরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও খামারে থাকা ৯ টি বিদেশি ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর মধ্যে ৩ টি গাভী মারা যায়। যার মধ্যে একটি গরু প্রতিদিন প্রায় ২০ লিটার দুধ দিতো। অন্য একটি গরু মারাত্মক দগ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। যা ১০-১২ দিনের মধ্যে বাচ্চা প্রসব করার কথা ছিলো। সেটাও হয়তো আর বাঁচবে না। এছাড়াও ৩০ হাত একটি ঘর ও গরু রাখার সরন্জামাদিগুলো পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
চরভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি রাতেই ঘটনাস্হল দেখে এসেছি।এতে সবুজ মিয়ার বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ঘটনা শুনে রাতেই মেডিকেল টিম পাঠিয়েছিলাম। এখন আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি।
##
