ভূরুঙ্গামারীতে সরকারিভাবে চাল ক্রয়ের সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তিতে আগ্রহ নেই মিল মালিকদের

আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২২
0

জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম ঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও মিলাররা এখনো খাদ্যবিভাগের সাথে চাল জমাদানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়নি। এর ফলে চলতি মৌসুমে সরকারীভাবে আমন চাল ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলায় প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা দরে ৩৬৫১.৯৯ মে: টন চাল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । এই উপজেলায় মোট মিলারের সংখ্যা ১৩৩টি। সাধারনত মিল মালিকদের মাধ‍্যমেই সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কিন্তুু গত ২৬ নভেম্বর সরকারের সাথে মিলারের চুক্তিবদ্ধ হবার শেষ দিন থাকলেও সেদিন একজন মিলারও চুক্তিবদ্ধ হয়নি। পরে চুক্তির মেয়াদ ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সুত্র।

উপজেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আন্ধারীঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন,বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেশী । এছাড়া বাজারে পর্যপ্ত ধানও পাওয়া যাচ্ছেনা। চড়া মূল্যে ধান ক্রয় করে গুদামে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এছাড়া এবছর মোট বিলের উপর ২% উৎস্যকর ধরা হয়েছে। এজন্য মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য ১১’শ থেকে ১২’শ টাকা। ধান ক্রয় করে চাল তৈরী ও মিটার পাশের জন্য চাল শুকানো ও গুদাম পর্যন্ত চাল পরিবহন এবং মোট বিলের উপর মিলারদের ২% উৎস্যকর ধায্য করায় মিলাররা চাল দিতে আগ্রহী হচ্ছেনা। তবে সরকারীভাবে সমঝোতা করার চেষ্টা চলছে।
##
২৭/১১/২২