মহামারী , জরা-জীর্ণ সংকট নিয়ে ফিরে এলো নববর্ষ

আপডেট: এপ্রিল ১৪, ২০২১
0

মহামারী , জরা-জীর্ণ সংকট নিয়ে ফিরে এলো নববর্ষ ২০২৮। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৭ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন বছর বঙ্গাব্দ ১৪২৮। আজ বুধবার সকালের ভোরের আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। স্বাভাবিকভাবেই সে স্বপ্ন করোনা ভাইরাসমুক্ত নতুন বিশ্ব, নতুন বাংলাদেশের।

দেশে দ্বিতীয়বারের মতো করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখসহ সবধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সারা দেশে আজ ১৪ই এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেই বাঙালির জীবনে আরো একবার এলো পহেলা বৈশাখ। গত বছরও মানুষ ঘরে আবদ্ধ ছিল, এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠা হবে না। এবারের বৈশাখে নিশ্চয়ই বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণের কারণে যে ‘লকডাউন’ চলছে তা থেকে মুক্ত হওয়ার আহ্বান ফুটে উঠবে সবার প্রার্থনায়।

এমন এক বিশ্ববাস্তবতায় বাঙালি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর সামনে হাজির হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৮। বাংলা নতুন বছরের জন্য যখন এই লেখা তৈরি হচ্ছিল, তার একটু আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬০২৮ জন, মারা গেছে ৬৯ জন!

এই মৃত্যুর মিছিল, আক্রান্তের খবর এবং কঠোর লকডাউনের মধ্যে সঙ্গত কারণেই বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতে ঢাকার অলি-গলি-রাজপথ, রমনার উদ্যান, চারুকলার বকুলতলা, শাহবাগ মোড়, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল— কোথাও থাকবে না উৎসবের ছোঁয়া। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই পহেলা বৈশাখ পালনের ক্ষেত্রে থাকবে কৃচ্ছতা।