মহেশখালীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক, ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা,গ্রেফতার ২

আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১
0

মহেশখালী(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ

মহেশখালীতে প্রেমের ফাঁদ পেতে এক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মোঃ আলমগীর (১৯) নামে এক যুবক। এরপর শারীরিক সম্পর্কের ভিডিওচিত্র ধারণ করে প্রতারণা করে সে। আলমগীরের সাথে ওই তরুণীর ভিডিও ধারণের খবর জেনে যায় অপর যুবক মোঃ হোসাইন(২৫)। সেও তরুণী ভিডিও ধারণের কথা প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোঃ হোসাইনও তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিস পাড়ার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোঃ আলমগীর ও একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাবার মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। ভিকটিম তরুণীর বাড়িও কালারমারছড়া ইউনিয়নে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আশিক ইকবাল জানান, গত ২৬ অক্টোবর আলমগীর ও মোহাম্মদ আনোয়ারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা ছমুদা খাতুন। ২৭ অক্টোবর রাতেই কালারমারছড়া এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন আলমগীর। গত ১১অক্টোবর দুপুরের দিকে তরুণীকে কৌশলে নিয়ে কক্সবাজারে হোটেলে নিয়ে যান আলমগীর। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করে আলমগীর। মোবাইল ফোনে এর ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সে।

তরুণীর অভিযোগ, ওই ভিডিওচিত্র দেখিয়ে আলমগীর প্রতারণা শুরু করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই তরুণীর কাছে টাকা দাবিসহ শারীক সম্পর্ক অব্যাহত করে সে। এ ঘটনাটি আলমগীরের সহযোগি মোঃ আনোয়ার ভিডিওর কথা ফাসঁ করে দেওয়া ভয় দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং টাকার জন্য তরুণীকে চাপ দিতে থাকে । এতে রাজী না হওয়ায় ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এরপর তরুণী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান, আাসামী মিথ্যে ভালোবেসে একটি মেয়েকে হোটেলে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া অযাচিত বিষয় ভিডিও করে রাখে। মেয়েটি জানতে পেরে ভয় পেয়ে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার পরিচিত বিবাহিত আাসামী আনোয়ার সুযোগ নেয়। মেয়েটি বয়সে ছোট। আাসামী প্রলোভন দিয়েছিল আশ্রয় নিয়েছিল প্রতারণার। এ ঘটনায় মামলা হলে ১ দিনের মধ্যে দুই আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।