ডেস্ক রিপোর্ট:
মালয়েশিয়ায় ২ সপ্তাহের লকডাউন চলছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন কার্যকর থাকার কথা জানানো হয়। লকডাউন হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক কঠোর। আর এই সময়ে বাংলাদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ বিদেশীদের ধড়পাকড়ও জোরদার হয়েছে।
দেশটির জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই এ সিদ্ধান্ত এল। ঘোষিত এ লকডাউনে একেবারেই প্রয়োজনীয় অর্থনীতির এমন কিছু খাঁত বাদে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ সহ ২৫ দেশের নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো। আর এ লকডাউনের মধ্যেই দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বিদেশি অভিবাসীদের আটকে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদিন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জেআইএম জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগ (এনআরডি) এবং পুলিশদের সাথে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের জন্য অতিরিক্ত আটক কেন্দ্র বরাদ্দ রাখতে ডিটেনশন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।
এ দিকে দুই সপ্তাহের কড়া লকডাউনে ৭০ হাজার আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবে এবং দেশজুড়ে ৮শরও অধিক সড়ক অবরোধ স্থাপন করা হবে, যা ইতিমধ্যে ৬ শ”টি স্থাপন রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের সতর্কতার সহিত চলাফেরা করার অনুরুধ জানিয়েছেন সচেতন বাংলাদেশ কমিউনিটি।
চলমান মহামারি সংক্রমনরোধে “বিভিন্ন এসওপি এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) পর্যায়ের পর্যায়ক্রমে এরই এক বছর হয়ে গেলেও কমছেনা মৃত্যু ও সংক্রমনের সংখ্যা। ২৯ মে শনিবার করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৯৮ জনের। এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুবরন করেছেন ২,৬৫০ জন। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২০ জন । এ নিয়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন, ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৬ জন।
এ দিকে কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় গত ২৫ মে পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন দুটি টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাতুক সেরি ডাঃ অধম বাবা।
