মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কথাও বলতে চায় : সর্বোচ্চ নেতা

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২২
0

ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুসলিম সরকারগুলোর সমালোচনা করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। বিশ্ব কুদস দিবস পালনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইফতারপূর্ব এক বৈঠকে তিনি এ সমালোচনা করেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মুসলিম সরকারগুলোর সমালোচনা করেছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। আগামী শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস পালনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইফতারপূর্ব এক বৈঠকে তিনি এ সমালোচনা করেন।

ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী মুসলিম দেশগুলোর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এসব দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে মারাত্মক ভুল করেছে। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দুঃখজনকভাবে মুসলিম দেশগুলো এক্ষেত্রে আশানরূপ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে; এমনকি এসব দেশ ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছুক নয়।তাদের কেউ কেউ মনে করছে ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে হলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে অথচ এটি মারাত্মক ভুল ধারনা।

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর ইমাম খোমেনীর (রহ.) আহ্বানে বিশ্ব কুদস দিবস পালন শুরু হয়

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, এ ধরনের সম্পর্ক স্থাপন কারো জন্য কোনো ফল বয়ে আনবে না এমনকি এতে তেল আবিবেরও কোনো উপকার হবে না। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের একটি উৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে সাড়ম্বরে বিশ্ব কুদস দিবস পালন করা।

ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই আল-আকসা মসজিদসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ইহুদিবাদীদের দখলমুক্ত করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) ইহুদিবাদীদের কবল থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত করার ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতি বছর এই দিনে গোটা মুসলিম বিশ্বে কুদস দিবসের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ইরানে দিবসটি বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার ভাষণের অন্য অংশে বলেন, আমরা একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। এটি হবে এক ও দুই মেরু কেন্দ্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা। ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে হবে। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র একটি দেশের ওপর সামরিক আক্রমণ নয়। এই আক্রমণের শিকড় গভীরে। এই তৎপরতা একটি জটিল ও কঠিন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, সম্ভাব্য নতুন বিশ্বব্যবস্থাকে সামনে রেখে ইরানসহ সমস্ত দেশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজেদের জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নয়া বিশ্ব ব্যবস্থায় সক্রিয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশটি ভেতর থেকে দুর্বল হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে তারা ২০ বছর গের চেয়ে এখন দুর্বল।#