যুক্তরাষ্ট্রে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে সড়কের নামকরণ

আপডেট: জুন ২১, ২০২১
0

গত ১৯ জুন ২০২১ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর নামে দতওঅটজ জঅঐগঅঘ ডঅণ’ নামে একটি সড়কের নামকরণ করেন।

বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি মেরিল্যান্ড আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শতশত প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে বাংলাদেশি কালজয়ী এই নেতার নামে সড়কটির ফলক উšে§াচণ করেন মেরিল্যান্ড স্টেট ডেলিগেট রবিন টি লুইস। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চূয়ালী যোগ দেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মেরিল্যান্ড হাউস মেম্বার ডেলিগেট রবিন টি লুইস, ডেলিগেট হ্যারি ভেন্ডারি, গভর্নর অফিসের কমিশনার ড. স্যাম কারকি, মেয়র অফিসের প্রতিনিধি রবার্ট জ্যাকসন, স্থানীয় মূলধারার রাজনীতিক গভর্নর অফিসের সাবেক কমিশনার আনিস আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমনিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে দেশের চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন, তেমনিভাবে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি তা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। একদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে তিনি বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বাল্টিমোর সিটির সড়কটিকে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণ করায় সিটি কর্তৃপক্ষকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জনাব তারেক রহমান আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কুটনৈতিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় স্থাপিত হয়েছিল। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই দেশ সে সময়ে যুগপৎ ভুমিকা পালন করে। তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন তা আজও সকলে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার শাসনামলে তিনি বাংলাদেশে টেক্সটাইল এবং তৈরী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী পোশাক রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানির সুযোগ করে দিয়েছিলো।

উদ্ভোধক রবিন টি লুইস বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সম্মান জানাতে পেরে বাল্টিমোর বাসী অত্যন্ত আনন্দিত। শহীদ জিয়াকে আন্তর্জাতিক নায়ক উল্লেখ করে স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তাকেঁ সম্মান জানানোর অর্থ হচ্ছে-গণতন্ত্রের প্রতি, মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া যেমন দেশ গড়েছেন, তেমনি মানুষের অধিকারকেও সমুন্নত রেখেছেন।

ডেলিগেট হ্যারি ভেন্ডারি বলেন, আজকের এই আনন্দ কেবল বাংলাদেশি কমিউনিটির নয় সমগ্র এশিয়ান কমিউনিটির। এই শহরে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নামে যে সড়কের ফলক উšে§াচিত হলো তা চির অম্লান থাকবে এবং মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটির আরো ব্যাপক অংশগ্রহণ কামনা করেন।

সাবেক কমিশনার আনিস আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সকল দল ও মতের রাজনীতির সুযোগ অবারিত করেছিলেন। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিলো তাঁর মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব আজও শহীদ জিয়ার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করে। ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামকরণ তাঁর প্রতি সম্মানের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করেন।