যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদন্ড সাময়িক স্থগিত

আপডেট: জুলাই ৩, ২০২১
0
ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট:
পাশ্চাত্যের অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ। তাদের যুক্তি, অপরাধ যতই ঘৃণ্য হোক না কেন, সভ্য সমাজ বা রাষ্ট্র কি প্রাণদণ্ড দিতে পারে? আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক বহু দিনের। নতুন নয় মার্কিন সমাজেও। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত এলো আমেরিকার বিচার বিভাগের তরফ থেকে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ঘোষণা করলেন, মৃত্যুদণ্ডের নীতি ও প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছে বিচার বিভাগ। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে সব মৃত্যুদণ্ডের ওপর সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে।

ঘটনাচক্রে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন তার প্রশাসন শেষ ছয় মাসে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। এত অল্প সময়ে এতজনের চরম শাস্তি আমেরিকার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তার প্রশাসন মানবতার পথে হাঁটবে। সেই সূত্রেই বাইডেন প্রশাসনের গতকাল রাতের এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ।

অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ড বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় মার্কিন আইন ও সংবিধান মোতাবেক প্রত্যেকের অধিকারই সুনিশ্চিত করতে হবে বিচার বিভাগকে। তবে তা করতে হবে স্বচ্ছতা ও মানবতার পথে। মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব বিশেষভাবে প্রযোজ্য।

গারল্যান্ড আরো জানান, প্রাণদণ্ডের ক্ষেত্রে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার যে প্রোটোকল তৈরি করেছিলেন, বিচার বিভাগ তা খতিয়ে দেখবে। এই প্রোটোকলে মারণ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুদণ্ডের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে একটি মামলা হয়েছিল।

১৭ বছর বন্ধ থাকার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন গত বছর জুলাইয়ে ফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করে। ১২০ বছরেরও বেশি সময়ে আর অন্য কোনো প্রেসিডেন্টের আমলে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দেখেনি আমেরিকা। সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ডটি কার্যকর হয় ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে সরার মাত্র দিন কয়েক আগে।
সূত্র : বর্তমান