রমজানে দেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান – মীর্জা ফখরুল

আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৩
0

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সহ-দফতর সম্পাদক মো: তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে।

তারেক রহমান ও মীর্জা ফখরুলের বানী দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো —
“পবিত্র মাহে রমজান সমাগত। এ পবিত্র মাস সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র জন্য রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস হিসেবে সম্মানিত। তাই মুসলিম উম্মাহ পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ট হন।

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলমান রমজান মাসে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আত্মার পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষণে নিয়োজিত হয়। রমজান মাসে গুণাহ বা পাপ বিমোচিত হয়, পূণ্য বা নেয়ামত বৃদ্ধি পায়। সারাদিন সকল ধরনের পানাহার থেকে মুক্ত হয়ে আত্মত্যাগের মাধ্যমে মোমিন মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন।

মহান আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত হলো কোরআন মজিদ। এই রমজান মাসেই কোরআন মজিদ নাজিল হয়েছিল। তাতে রমজানের নিজস্ব ফজিলতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পবিত্র কোরআন মজিদের ফজিলত।

অনাচার, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি পরিহার করে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। মানবাধিকার, সাম্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষায় সকলের সচেষ্ট থাকা উচিৎ।

মাহে রমজান প্রতিটি মুসলমানের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি-সুখের বার্তা, সবার জীবন হয়ে উঠুক মঙ্গলময়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বাণী দিয়েছেন তা দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো —-
‘পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের জানাই আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। পবিত্র রমজান মাসে একজন রোজাদার মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট করুণা ভিক্ষা করলে সন্তুষ্টচিত্তে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।

এই পবিত্র মাহে রমজানে একজন প্রকৃত মোমিন ব্যক্তি সারাদিন সকল ক্ষেত্রে সংযমী থাকেন আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের আশায়। রমজান মাস হলো বরকতের মাস, কেননা মানুষের গুণাহগুলোকে দূরীভূত করে তার আত্মিক ও আধ্যাত্মিক পূর্ণতার ক্ষেত্র সৃষ্টি করে সিয়াম সাধনা।

অবশ্য রোজা রাখার উদ্দেশ্যটাও পাপ থেকে বিরত থাকা, ঈমান ও তাকওয়া অর্জন করা। সুতরাং রমজান মাসের অবদান বহুমাত্রিক ও সর্বজনীন। হিংসা-বিভেদ, অন্যায়, জুলুম, অবিচার এবং লোভ লালসাসহ সকল ধরনের পাপকাজ থেকে বিরত থাকার এক মহান শিক্ষা দেয় মাহে রমজান। এ শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে নিজেদেরকে পবিত্র মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদেরকে ব্রতী হতে হবে। মানবাধিকার, সাম্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষায় মুসলমানদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে। রমজান মাস সমবেদনা ও সহযোগিতা প্রদর্শণের মাস এবং এটি সবর ও ধৈর্যের মাস। মাহে রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা অনন্য ও অতুলনীয়।
মাহে রমজান প্রতিটি মুসলমানের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি-সুখের বার্তা, সবার জীবন হয়ে উঠুক মঙ্গলময়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।