রাজধানীতে র‌্যাব-৩’র অভিযানে বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল, সীম ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার ১০

আপডেট: জুন ১৯, ২০২২
0

র‌্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর কদমতলী, শাহবাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকা হতে মোবাইল চোর চক্রের ১০ জন গ্রেফতার; বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল, সীম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্র রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বানিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে এবং এসব মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থান হতে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোনের ছিনতাইকারী চক্র সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সাথে যোগসাজশে এসব চোরাই মুঠোফোন কেনা-বেচায় জড়িত রয়েছে।

র‌্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর কদমতলী, শাহবাগ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকা হতে মোবাইল চোর চক্রের ১০ জন গ্রেফতার

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ এর আভিযানিক দল রাজধানীর কদমতলী, শাহবাগ এবং নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন এলাকায় ১৮/০৬/২০২২ তারিখ রাতে অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল চোরচক্রের সদস্য ১। মোঃ রাসেল (৩১), সাং-মোর্সেদগাঁও, থানা-লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৮), সাং-শিকিরচর, থানা-মতলব উত্তর, জেলা-চাঁদপুর, ৩। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪৮), সাং-দক্ষিণ চকযদু, ওয়ার্ড-৫, থানা-দামোরহাট, জেলা-নওগাঁ, ৪। মোঃ আবুল কাশেম (২৮), সাং-লডহাডিজ, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলা, ৫। মোঃ মিলন (৪৮), সাং- ভোদারচর, থানা ও জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৬। মোঃ সুলতান (২৭), সাং-বিক্রমপুর, থানা-শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৭। মোঃরাজু (৩০), সাং-খেজুরতলী, থানা-লক্ষীপুর, জেলা-লক্ষীপুর, ৮। মোঃ তৈয়ব আলী (৪০), সাং-বিক্রমপুর, থানা-শ্রী-নগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ৯। শাওন ফকির (২১), সাং-সাবেক কমলপুর, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর এবং ১০। মোঃ নাদিম (৩৫), সাং- বিক্রমপুর, থানা-শ্রী-নগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

অভিযানসমূহে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে টাচ মোবাইল ১৪৭ টি, বাটন মোবাইল ২৯১ টি, ট্যাব ০২ টি, সীমকার্ড ০২ টি এবং নগদ ৩৫,৩২০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মূলত ছিনতাই/চোরাইকৃত মোবাইল ফোনসমূহ অল্প দামে ক্রয় করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে। ধৃত আসামীরা প্রত্যেকেই মুঠোফোন ছিনতাই/চোর চক্রের সদস্য এবং চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত।

ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল স্বল্পদামে চোরাই মোবাইল কারবারিদের নিকট বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও এসব মোবাইল স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করে থাকে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতিকৃত, ছিনতাইকৃত ও চোরাইমাল বিক্রি ও হেফাজতে রাখা আমলযোগ্য অপরাধ। দীর্ঘদিন যাবৎ ধৃত আসামীরা নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে চোরাই মোবাইলের অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।

ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।