রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী আদায় করতে হবে — মান্না

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
0

দেশ জনতা ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকার

আওয়ামীলীগের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন , তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কোন আলোচনা না করে , নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোন কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই কি করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয় আওয়ামীলীগ ! নির্বাচনের ইশতিহার নিয়েও তারা তাদের দলের মধ্যে আলোচনা চলছে অথচ পরবর্তী নির্বাচনটা কি ভাবে হচ্ছে সে নিয়ে তো কোন কথা বলেনি।

মান্না বলেন , তোমরা নির্বাচনের জন্য তৈরি হও। নির্বাচন কবে? উনি তারিখ বলেছেন? বলেননি। আড়াই বছর পরে নিয়ম মতো নির্বাচন হওয়ার কথা। এখন কেন নির্বাচনের কথা বললেন? তার মানে নির্বাচনের মূলা ঝুলাতে চান। আপনারা বলেন নির্বাচন চাই, এখনই চাই, কিন্তু তোমার সাথে নির্বাচন না, তুমি যাও। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এই ব্যাপারে একমত হতে হবে।’

এভাবে একটা দেশ চলতে পারে ? বাংলাদেশের জনসাধারণ যেভাবে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চান তা কখনোই বর্তমান আওয়ামী সরকারের দ্বারা পুরণ হবে না। এই বিষয়ের সমাধান রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। তিনি আরও বলেন নির্বাচনে প্রযুক্তি অসচেতনমুলক ভোটারদের জন্য ই ভি এম ব্যবস্থা একেবারেই অনুপযুক্ত।

দেশ জনতা ডটকমকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না দেশ জনতা ডটকমকে বলেন , ‘ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন কোনো বড় ইস্যু নয়। বরং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনই এখন সবার একমাত্র দাবি হওয়া উচিত। যদিও বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাকের বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

আমরা বিশ্বাস করি, বহির্বিশ্বের শক্তিগুলোও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রেখেই সবকিছু করবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বাইরে কোনো কিছু গ্রহণ করবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যতক্ষণ এই সরকার আছে; যাকেই নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হোক না কেন কিছুই যায় আসে না।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে আন্দোলন করবেন, তা ঠিক হবে না। কারণ বর্তমান সরকার তাদের মতো করেই ইসি ঘোষণা করে দেবেন-এটাই হবে। তাই এটা কোনো বড় ইস্যু নয়। বরং প্রধান দাবি হওয়া উচিত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। তবে সরকারকে বলব, এমন একটা নির্বাচন কমিশন করুন, সেটা সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচন করতে পারবে। কীভাবে হবে, তা সবাই বসে ঠিক করা উচিত। সরকার যদি মনে করে পরামর্শ নেবে, তখন দেব।