রাজাপুরে ব্যাক্তিগত বিরোধকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে চালানোর অভিযোগ

আপডেট: জুলাই ৪, ২০২১
0
ovijog

আবু সায়েম আকন, রাজাপুর(ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরের ২ নং শুক্তাগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে সোহরাব হাওলাদারের ছেলে নয়ন হাওলাদার (২৫) এর সাথে পূর্বে বিরোধের জের ধরে পার্শ্ববর্তী হাজির হাটে বসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষ শান্ত হয়ে যে যার মত করে চলে যায়।

এদিকে আলমগীর হোসেন ২১ জুন সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী কুদ্দুস হোসেনের সমর্থক হওয়ায় তিনি বিষয়টিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তার কর্মীর উপরে হামলা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে তার সমর্থকদের দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আবদুস সোবহান এর কিশোর গ্যাং দিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে হামলা চালিয়েছে বলে প্রচার করে। অথচ আলমগীর হোসেনের দেয়া ভিডিও সাক্ষাতকারে সোবাহান মেম্বার এবং তার ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও থানায় করা অভিযোগ পত্রে নয়নের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের কারনে এই হামলা করেছে বলে উল্লেখ করে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আবদুস সোবাহান অত্যন্ত ভদ্র প্রকৃতির মানুষ। তিনি অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক।

কোনো মানুষ গড়ার কারিগর কিশোর গ্যাং তৈরি করবে এটা হাস্যকর। মানুষ কতটা নিচে নামলে এমন কথা বলতে পারে তা কুদ্দুস হোসেন এবং তার সমর্থকদের না দেখলে বোঝা যেতনা। কুদ্দুস হোসেন বিগত দুই টার্ম মেম্বার ছিলেন। তার ক্ষমতা কালে এলাকায় চলতো ত্রাসের রাজত্ব। তার হাত থেকে এলাকার সাধারণ জনগনতো দুরের কথা তার বিবাহিত বউও রক্ষা পায়নি। যার বিরুদ্ধে বউকে হত্যা মামলা চলমান তাকে দিয়ে আর কি আশা করা যায়?

এ ব্যাপারে আবদুস সোবাহান মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলমগীর এবং নয়নের সাথে ব্যাক্তিগত বিবাদ চলমান। সেটা নিয়েই ওদের ঝামেলা হয়েছে। আমি বিগত কয়েকদিন অসুস্থতার কারনে বাড়িতেই আছি। আমার নামে আমার সাথে নির্বাচনে হেরে যাওয়া সাবেক মেম্বার কুদ্দুস হোসেন এই অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এর নিন্দা জানাই।

এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেনের কাছে তার ভিডিও সাক্ষাতকার এবং থানার অভিযোগে মিল না থাকার কারন জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। সোবাহান মেম্বারের লোক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি এমন অভিযোগ উঠলে সে এটা অস্বীকার করে বলেন আমাকে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধাও দেয়নি আর আমি এমন অভিযোগ কাউকে করিওনি। যদি কেউ এটা প্রচার করে থাকে এর দায়ভার তার। আমাকে হাসপাতাল থেকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে বাসায় বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিলে আমি বাসায় চলে আসি