রাবি অধ্যাপক হত্যা : রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর

আপডেট: মে ১৫, ২০২৩
0

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় আসামিদের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশিত হয়েছে গত ৩ মে বুধবার (৩ মে)। ফলে এই মামলায় শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ স্বাক্ষর করার পর ২১ পাতার পূর্ণাঙ্গ এই রায় প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যার দুই আসামি শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের রিভিউ খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের বেঞ্চ।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন তিনি। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।

এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ২ জনকে খালাস দেন। এরপর দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর আপিল ও আসামি পক্ষের রিভিউ শেষে আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।