রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবিদের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় দানের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি করতে হবে -অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২২
0

০৮ অক্টোবর, শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে সদস্যদের (রুকন) নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষাশিবির-২২ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের পরিচালনায় ও জেলা আমীর জনাব মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে রিজিক থেকে দান করতে বলেছেন। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবিদের জীবন অধ্যয়ন করলে আমরা কুরবানির উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাই। মহান আল্লাহ ঈমানদারের জান ও মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। জামায়াত কর্মীদের আল্লাহর রাস্তায় দানের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য অকাতরে দান করতে হবে। স্ত্রী, পুত্র, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে দানের জন্য উৎসাহ দিতে হবে। হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি দানশীল ব্যক্তি মানুষের নিকটবর্তী, আল্লাহর নিকটবর্তী এবং জান্নাতের নিকটবর্তী।”

শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টীম সদস্য ডা. আব্দুর রহীম সরকার ও ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন। তিনি বলেন, “মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদীকে না জানলে জামায়াতের ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে জানা সম্ভব নয়। তাই মওদূদী (রহ.) এর ব্যক্তিগত জীবন জানতে হবে, পাশাপাশি তাঁর জ্ঞানগর্ভ লেখনি বইগুলো আমাদের গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। তিনি জামায়াতের দীর্ঘ পথ চলায় বাধা-প্রতিকূলতা, জুলুম-নির্যাতন ও ত্যাগ-কুরবানির বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরেন।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “রুকন হিসেবে হক আদায় করে কাজ করতে হবে। প্রশ্ন করার চেয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। অধ্যাপক গোলাম আযম রাহিমাহুল্লাহ ও জনাব আব্বাস আলী খান রাহিমাহুল্লাহ এবং শহীদ দায়িত্বশীলগণ আমাদের সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আজ অনেক মা সন্তান হারা, অনেক স্ত্রী স্বামী হারা, অনেক ছেলে বাবা হারা। সাহসিকতার সাথে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি কাজে আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হবে।”