রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি : কতজন শিশু শ্রমিক কর্মরত ছিল র‌্যাব তা খতিয়ে দেখছে র‌্যাবের মহা-পরিচালক

আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পোড়া হাসেম ফুড কাখানায় কতোজন শিশু কর্মরত ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহা-পরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, দেশের সকল শিল্প কারখানায় শিশুশ্রম বন্ধে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে শ্রম অধিদপ্তরকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
সজীব গ্রুপের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা বাবদ ঈদ উপহার প্রদান শেষে শিশুশ্রম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের মহা-পরিচালক এসব কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে এই ঈদ উপহারের প্যাকেট তুলে দেন তিনি। এসময় আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন র‌্যাবের মহা-পরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আরো জানান, দেশে মাদক উদ্ধার, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রন ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের গ্রেফতারসহ নানা ক্ষেত্রে র‌্যাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে র‌্যাব নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
অগ্নিকান্ডে নিখোঁজের ব্যাপারে র‌্যাবের কাছে কোন তথ্য আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জাবাবে র‌্যাবের মহা-পরিচালক বলেন, নিহতদের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। এটা শেষ হতে সময়ের ব্যাপার। ডিএনএ পরীক্সা সম্পন্ন হওয়ার পর কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া এ ঘটনায় গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষ হলে তাদের প্রতিবেদনে সবকিছু পরিস্কার হবে।
ঈদ উপহার দেয়া ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে অগ্নিকান্ডের সময় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত ৪৩ জন শ্রমিকও ছিলেন। সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক কর্নেল একে আজাদ, র‌্যাব মিডিয়া উয়ং এর পরিচালক লে. কর্নেল মইন উদ্দিন, র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা প্রমুখ।

এম আর কামাল
নারায়ণগঞ্জ