র‌্যাবের অভিযানে ৫কেজি ক্রিস্টাল মেথসহ ১ জন গ্রেফতার

আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২১
0

র‌্যাব এর অভিযানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে অবৈধ মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এর সর্ববৃহৎ চালান প্রায় ৫ কেজি আইস, বিদেশী অস্ত্র ও গুলিসহ টেকনাফ আইস সিন্ডিকেট এর অন্যতম হোতা মোঃ হোছেন @ খোকন ও তার ১ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।

২। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত মাদক হলো আইস বা ক্রিস্টাল মেথ। ক্রিস্টাল মেথ বা আইসে ইয়াবার মূল উপাদান এমফিটামিন এর পরিমান অনেক বেশী থাকে। তাই মানবদেহে ইয়াবার চেয়েও বহুগুন ক্ষতিসাধন করে এই আইস। এটি সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিস্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতা এবং মানসিক অবসাদ ও বিষন্নতার ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। শারিরীক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে এটির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এই মাদকের প্রচলনের ফলে তরুণ-তরুণীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং অস্বাভাবিক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। এই মাদকে আসক্ত হয়ে মাদকাক্তরা নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে।

৩। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে টেকনাফ কেন্দ্রিক কয়েকটি মাদক চক্র বেশ কিছুদিন ধরে পাশ্ববর্তী দেশ হতে মাদকদ্রব্য আইস বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

৪। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখ ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে টেকনাফ আইস সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা (১) মোঃ হোছেন @ খোকন (৩৩), পিতা মোঃ ইউনুছ, থানাঃ টেকনাফ, জেলাঃ কক্সবাজার, এবং (২) মোহাম্মদ রফিক (৩২), পিতা মোঃ সুলতান, থানাঃ টেকনাফ, জেলাঃ কক্সবাজারদের’কে গ্রেফতার করে। উক্ত অভিযানে জব্দ করা হয় আলোচিত নতুন ভয়ংকর মাদক আইস, যার পরিমান প্রায় ০৫ কেজি ৫০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১২.৫ কোটি টাকা। এছাড়াও তাদের নিকট হতে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, ০২ টি মোবাইল ০৩টি দেশী/বিদেশী সীমকার্ড এবং মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

৫। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা টেকনাফ কেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। এই চক্রটি বিগত প্রায় কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছে। সিন্ডিকেটে ২০-২৫ জন যুক্ত রয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্যরা সাধারণ নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান দেশে নিয়ে এসে থাকে। চক্রটি ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত থেকে বিগত কয়েক মাস ধরে আইস পাচার করে নিয়ে আসছিলো। ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের সিন্ডিকেট সদস্য রয়েছে বলে জানায়।

৬। বিস্তারিত জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত মোঃ হোছেন @ খোকন এই চক্রের মূল হোতা। সে তার কাপড়/আচারের ব্যবসার আড়ালে মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করতো। তার নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

৭। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ রফিক এই চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং টেকনাফে অটোরিক্সা চালকের ছদ্মবেশে মাদক পরিবহণ এবং স্থানান্তর করতো।

৮। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।