লকডাউনে বিপাকে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২১
0

শাহী ইমরান শিকদার, কুয়েত :

রিক্সা নিয়ে বের হতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার জুটছেনা অনেকেরই । ফলে জুমার নামাজের পর কেউ কেউ সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন বলে জানা গেছে । ছোট খাটো টং দোকান গুলো বন্ধ থাকায় অনেকের কপালে ইফতারি জুটছেনা সারা দিন উপোস থাকার পর । এভাবে আরো কিছুদিন চলতে থাকলে দেশে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে বলে আশংকা করা যাচ্ছে ।

খাদ্যের অভাবে দিনাজপুরের রাস্তায় নেমে এসেছে দিনমজুর।আজ এমন একটি চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও খাদ্যাভাব দিতে পারে লকডাউনের কারনে ।

সরকারের উচিত লকডাউনের কারনে কর্মহীন সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারী সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা । লকডাউনের কারনে কেউ যদি অনাহারে মারা যায় তার দায় কে নিবে ?

অবশ্যই এর দায় সরকারকে নিতে হবে যেহেতু সরকার লকডাউন দিয়েছে ।আমরা দেখেছি বিভিন্ন দেশে লগডাউন দেওয়ার পর সরকার কর্মহীন অসহায় নাগরিকদেরকে খাদ্য সামগ্রী সাহায়তা দিয়েছে ।রাষ্ট্রীয় দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা যেকোন দেশের নাগরিকের মৌলিক চাহিদা যা পুরণ করা রাস্ট্রের দায়িত্ব । কেননা নাগরিক সরকারকে সব সময় টেক্স প্রদান করে থাকে ।

দেশে যে কোন সময় যেকোন দুর্যোগ দেখা দিতেই পারে । এটাই স্বাভাবিক কিন্তু নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধা দেখা ও সরকারের দায়িত্ব । মহামারি করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ বিভিন্ন ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেওয়া প্রয়োজন । শুধু একদিকে নজর দিলেই হবেনা । যেকোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো খারাপ দিক বিবেচনায় নিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত । তাহলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বেনা ।

করোনা প্রতিরোধ করার জন্য শুধু লগডাউন দিলেই হবেনা পাশাপাশি জনসাধারণের দুর্ভোগ ও অসহায় শ্রমজীবি মানুষের বেঁচে থাকার কথাও ভাবতে হবে । তাহলে আর অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃস্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । পরিশেষে সরকারের প্রতি আহবান থাকবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দেশে যেন কোন মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটে ।