লক্ষ্মীপুরে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা থেকে ২২ জন রিকশা শ্রমিককে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লক্ষ্মীপুর শহর শাখা কর্তৃক আয়োজিত রিকশা শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি থেকে ২২ জন নিরিহ রিকশা শ্রমিককে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

নেতবৃন্দ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ স্বাধীন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সাম্য, ন্যায় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি আদর্শিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অসংখ্য শ্রমিক মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। আজ সেই স্বাধীন দেশে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা থেকে অসহায় নিরিহ রিকশা শ্রমিকদের গ্রেফতার করে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমাননা করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সংবিধান শ্রমজীবী মানুষদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে।

শ্রমিকদের প্রয়োজনের তাগিদে সভা-সমাবেশ করতে পারবে। সংবিধান যেখানে শ্রমিককে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে পুলিশ সেখানে শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। যে সব পুলিশরা শ্রমিককের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার কেড়ে নিতে চায় তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ কোন একটি দলের কিংবা সরকারের একক সম্পত্তি নয়। এটি এদেশের আপামর জনগনের সম্পত্তি। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস পালনের অধিকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি থেকে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করবে এটি আমরা কল্পনা-ই করতে পারি না। পুলিশের এই অপকর্ম আমাদেরকে বিশে^র কাছে লজ্জিত করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একেক জন শ্রমিক তার পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। পুলিশের এই হয়রানি মূলক গ্রেফতারের কারণে প্রত্যেকটি শ্রমিক পরিবারকে অত্যন্ত নিদারুণভাবে জীবন অতিবাহিত করতে হবে।

শ্রমিকের পরিবারে নিত্য দিনের খাদ্য হতে শুরু করে অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রীর সংকট দেখা দিবে। আমরা সরকারের কাছে নিরিহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিঃশর্ত মুক্তি দিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।