লঞ্চ অগ্নিকান্ডে ৩৯ যাত্রী নিহতের ঘটনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের গভীর শোক

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ শোকবাণীতে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে ৩৬ জন যাত্রী নিহত ও বহু হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা যায় মাঝ নদীতে ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত্র ঘটে। এমতাবস্থায় লঞ্চ যতদ্রুত সম্ভব তীড়ে ভিড়িয়ে যাত্রীদের অক্ষত উদ্ধার করা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লঞ্চ কূলে ভিড়াতে সময় ক্ষেপন করে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেক যাত্রী এ সময় মাঝ নদীতে ঝাঁপ দেয়। লঞ্চে শিশু বৃদ্ধসহ প্রায় আট শতাধিক যাত্রী ছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক যাত্রী। কিন্তু বাকি যাত্রীদের হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে আমরা জানি না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশে সড়ক পথে প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অসংখ্য মানুষ হতাহত হচ্ছে। নিরাপদ পথ হিসেবে নৌ-পথ বিবেচিত হলেও সরকার ও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার ফলে কিছুদিন পরপর নৌ-পথে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। নামাকাওয়াস্তে তদন্ত কমিটি ঘটিত হলেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জাতির সামনে পেশ করা হয় না। যার ফলে অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে। আর জাতিকে বহন করতে অসংখ্য লাশের কফিন। স্বজন হারা হতে হয় অসংখ্য পরিবারকে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অভিযান-১০ লঞ্চের অগ্নিকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অবিলম্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। তদন্ত রিপোর্ট জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী দিনে এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করতে হবে। দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ অগ্নিকান্ডে নিহত যাত্রীদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট দোআ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।