লাখ লাখ টাকা আত্মসাতর প্রমানে বরখাস্ত হলেও আবার বহাল তবিয়তে বিআইডব্লিউটিএ’র তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী

আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৩
0


নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে রাষ্ট্রের লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষে দশের মধ্যে ৮ নং অবস্থানে বিআইডব্লিউটিএ। আর এই রাজস্ব আত্মসাৎ ও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মালামাল অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সঞ্জীব হাওলি গত ১৪ জুলাই ২০২২ তারিখে যুগ্ম পরিচালক আশরাফ হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া স্মারকে চিঠিতে এইচ এইচ এন্টারপ্রাইকে মংলা-ঘসিয়াখালী-কাউখালী নৌ-পথের পঞ্চকড়ন লঞ্চঘাটের দুইটি ডলফিন উত্তোলনের আদেশ দেন। যার সরকারি মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আরো কয়েকটি অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএ অফিসে জমা হয়।
উল্লেখ্য, বটবুনিয়া এস পি ৩৯৩ ঘাটে ইস্পাড ও জেটি বিক্রি করে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সঞ্জীব হাওলী। যার সরকারি মূল্য এক কোটি পঁচিশ লক্ষ টাকা। এই অভিযোগের কোন তদন্ত না করেই পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ কাজী ওয়াকিল নওয়াজ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সিবিএ নেতা সঞ্জীব হাওলীর বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে চাকুরিতে পুনর্বহালের সুযোগ করে দেন।

এদিকে, সঞ্জীব হাওলী ও ওয়াকিল নওয়াজের গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় বাড়তি সুবিধা নিয়ে থাকেন সঞ্জীব হাওলী। তাকে পুর্বের কর্মস্থলে বহাল রাখা হয়েছে। ওয়কিল নওয়াজ গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ২৭ সেপ্টেস্বর ২২ তারিখে তদন্তকারী কর্মকর্তা কমিশনের নিকট মামলা রুজু করার অনুমতি চেয়ে চিঠি প্রদান করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে মামলার বিষয়টি কার্যকর হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও বিআডব্লিউটিএ’র যুগ্নু পরিচালক রহমত উল্ল্যাহ তদন্ত কমিটি বন্দর ও পরিবহন বিভাগের সহকারী জাহাঙ্গীর আলমের ফোরশোর লাইসেন্সের রাজস্ব ৩৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫ টাকা আত্মসাদের প্রমাণ পায়। রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে কর্তৃপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ ওয়াকিল নওয়াজ আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করে চাকুরিতে পুনর্বহাল করেন। জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে আরো ভালো পদায়ন পেয়ে প্রকৌশল বিভাগে কর্মরত আছেন।

ইতোপূর্বে বিআইডব্লিউটিএ অপকর্মের সাজার দৃষ্টান্ত অনেক রয়েছে যেমন গত ২০১৪ সালে বিআইডব্লিউটিএর খুলনা শাখার একটি পল্টন ভাড়া অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত ও আংশিক অস্বচ্ছতার কারণে নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের তৎকালীন পরিচালক এমদাদুল হক ও যুগ্মপরিচালক শাহজালাল হক চাকরিচুত্য হন। বিআইডব্লিউটিএ’র হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ২০১২ সালে অর্থ আত্মসাতে মামলায় সম্পূর্ণ অর্থ ফিরিয়ে দিয়েও ফৌজদারী মামলা খেয়ে সর্বস্বান্ত হন, বিআইডব্লিউটিএর আরেক কর্মচারী চট্টগ্রাম শাখার মার্কম্যান নুর নবী পনির এক ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অঙ্গিকারে ১৫ লক্ষ টাকা নেন। কাজ দিতে না পারায় ঠিকাদার কর্তৃক অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ তাহার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। সঞ্জীব হাওলি ও জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর অপরাধ করে চাকুরিতে বহাল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে হতবাক সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ ধরণের অভিযোগ শুনেছি। তদন্ত করে অবশ্যই কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের

বরখাস্ত হয়েও বিআইডাব্লিউটিএ’তে আধিপত্য কমেনি এক তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীর