লামায় ১২ নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের

আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২১
0

হামিদ কল্লোল, বান্দরবান জেলা সংবাদদাতাঃ বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ১নং গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা , প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ,সহ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ,পোলিং কর্মকর্তা সহ মোট১২ জনকে আসামি করে ২৩শে নভেম্বর মোঙ্গলবার লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি মামলা করেছেন শিরিন আক্তার নামের একজন নারী সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডির উপর তদন্তভার দিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,মামলার বাদী শিরিন আক্তার স্বামী মামুন রশিদ ১১ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লামা উপজেলার ১নং গজালিয়া ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ছিলেন।তিনি নির্বাচনের দিন বিকাল পাঁচটার সময় ঘোষিত ফলাফলে বই প্রতীকে ৫২৪ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সূর্যমুখী ফুল প্রতীকের আচিং মার্মাকে ১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন।নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ঘোষিত ফলাফলে শিরিন আক্তার ৪নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ৮৪ভোট, ৫নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ৩৮৫ ভোট,৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ৫৫ ভোটসহ মোট ৫২৪ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী আচিং মার্মা সূর্যমুখী ফুল প্রতীকে ৪নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ২৪২ভোট,৫নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ৪৯ভোট,৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে ২২০ভোটসহ মোট ৫১১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী ফলাফলে শিরিন আক্তার বিজয়ী হলেও নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেন যে,তাদেরকে একলক্ষ টাকা পুরষ্কার হিসাবে দিলে তাকে বিজয়ী করবেন। কিন্তু শিরিন আক্তার তাদের এই অনৈতিক প্রস্তাব নাকচ করে দেন।নির্বাচনী কর্মকর্তারা পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আচিং মার্মার নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে ৬নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে সূর্যমুখী ফুল প্রতীকের ভোট ২২২স্থলে ২৩২ এবং শিরিন আক্তারের বই মার্কার ৫৫ ভোটকে ৫৪ করে দেন।এভাবে কৌশলে নির্বাচনী ফলাফল ড্র ঘোষণা করেন। যা সম্পূর্ণ প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের শামিল বলে শিরিন আক্তার অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, আমার বিজয়ী ফলাফলকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ড্র ঘোষণা করা আমার কাছে বোধগম্য নয়।
এই ঘটনায় লামা উপজেলার সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। সেই সাথে সবাই মামলাটির তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।